( २8" ) জীবিক সংস্থানের নিমিত্ত আবশ্বক পরিমাণ বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ করিয়৷ দিতেন। স্বপ্রসিদ্ধ কৃষ্ণদেব বিদ্যাবাগীশ যে কৃষ্ণদেবপুর পরগণার জমিদারী লাভ করিয়াছিলেন, অনেকে বলেন তাহাও রাজবল্লভের প্রদত্ত (১) । তিনি অগ্নিষ্ট্রোম, অত্যগ্নিষ্ট্রোম, বাজপেয়, কিরাটকোণ এবং স্বৰ্গারোহণ নামক বহুব্যয়সাধ্য যজ্ঞ সম্পাদন করিয়াছিলেন। বল্লাল ও লক্ষ্মণের আত্ম কলহে, নিরুপবীত বৈদ্ধসন্তানগণ মধ্যে যজ্ঞোপবীত প্রথা প্রবর্তন, এবং অক্ষত-যোনি হিন্দুবিধবাগণের পুনৰ্ব্বিবাহ প্রচলন বিষয়ে তিনি বহু অর্থ ব্যয় করিয়াছেন। বৎসরের প্রতি মাসে রাজবল্লভের আলয়ে যে সমস্ত দেবার্চনা ও শ্রাদ্ধ কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহিত হইত, তাহা সুসম্পন্ন করিতে তিনি সৰ্ব্বদা মুক্তহস্ততা প্রদর্শন করিতেন । পুত্রের বিবাহ ও বিধবাকম্ভার দত্তক-গ্ৰহণ উপলক্ষে তিনি সমগ্র বঙ্গীয় বৈদ্য সমাজকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া যে চন্দনের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন, অদ্যাপি অনেকে তাহার আলোচনা করিয়া থাকেন । কথিত আছে, রাজবল্লভ পিতার যে বাৎসরিক শ্ৰাদ্ধ করিতেন, তদুপলক্ষে পুরোহিতকে ভোজ্যের সহিত “থোড়” দান করা হইত। পুরোহিত অকিঞ্চিৎকর জ্ঞানে উহা না লইয়া রাজবল্লভের বাটিতেই ফেলিয়া যাইতেন, এবং জনৈক দরিদ্র ব্রাহ্মণ ঐ পরিত্যক্ত থোড় সংগ্ৰহ করিয়া লইয়। যাইতেন । রাজবল্লভ ইহা লক্ষ্য করিয়া একদা ভোজ্যের সহিত স্বর্ণ নিৰ্ম্মিত থোড় দান করেন। এবার রাজ-পুরোহিত উহ পরিত্যাগ না করিয়া গৃহে নেওয়ার উদ্যোগ করিলে, ঐ দরিদ্র ব্রাহ্মণ উপস্থিত হইয়া আপত্তি উপস্থাপিত করেন। উভয়ে কিয়ৎকাল ঐ থোড় (১) কাহারও মতে বিদ্যাৰাগীশ মহাশয় গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের অনুগ্রহে এই জমিদারী লাভ করেন ।
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।