( ২৬১ ) ছিলেন। পরাক্রান্ত মহারাষ্ট্ৰীয়গণ সন্নীতির মার্গ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক, প্রকৃতিপুঞ্জের ধন সম্পত্তি লুণ্ঠন দ্বারা অর্থ সংগ্ৰছে ৰাস্ত হইয়াছিল । সুবিশাল ভারত সাম্রাজাঃমধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা ও আত্মকলহের তাণ্ডব নৃত্য জন-সাধারণের মনে ভীতির সঞ্চার করিতেছিল। প্রকৃতিপুঞ্জের, কিছুমাত্র আত্মরক্ষার ক্ষমতা ছিল না। প্রবল ব্যক্তি অপ্রতিহত প্রভাবে দুৰ্ব্বলের প্রতি অত্যাচার করিতেছিল। যে ভারতবর্ষ একদা জগতের শিক্ষাগুরু ছিল, তাহার এই শোচনীয় অবস্থা বিদূরিত করিতে এক মহতী শক্তির প্রয়োজন হইয়াছিল । পলাশীর রণক্ষেত্রই ভগবানের ঐ মহন্ধুদ্দেশু সাধনের সোপানস্বরূপ। কি ষড়যন্ত্রকারিগণ, কি ইংরেজ সম্প্রদায়, কেহই তৎকালে জগদীশ্বরের এই মঙ্গলময়ী ইচ্ছা অনুভব করিতে সক্ষম হন নাই । * ইংরেজ রাজত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অশান্তির পরিবর্তে শান্তি, অজ্ঞান তিমিরের স্থলে শিক্ষার পবিত্র আলোক এবং স্বেচ্ছাচারের পরিবর্ভে রাজবিধি প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছে। ভারতভূমির কল্যাণ সাধন এক্ষণে প্রধানতঃ দেশীয় লোকের হস্তে নিহিত আছে । স্বদেশ উদ্ধার করিতে হইলে, ব্যক্তিগত স্বার্থ পরিত্যাগ করিতে হইবে, অসত্যকে ত্যাগ করিয়া সত্যকে আশ্রয় করিতে হইবে, ভবিষ্য বংশীয়ুদিগের কায়িক ও মানসিক, এই উভয়বিধ শিক্ষার প্রতি সবিশেষ লক্ষ্য রাখিতে হইবে, এবং র্যাহার শিক্ষিত বলিয়া পরিচিত্ত, তাহাদিগকে ঐ সমস্ত সন্নীতির পথ প্রদর্শন করি। জনসাধারণকে স্বশিক্ষিত করিতে হইবে। ইংরেজ রাজ যে পর্য্যম্ভ দ্যায়ের মর্থ্যাদা রক্ষা করিবেন, সে পৰ্য্যন্তর্তাহাদের রাজত্ব অক্ষুণ্ণ থাকিবে । কবিবর নবীন চন্দ্র সেন সত্যই বলিয়াছেন,— ধর বৎস! এই স্তায়পরতা দর্পণ, বিধিকৃত, ব্রিটিশের রাজ্য নিদর্শন। যতদিন পূৰ্ব্ব রাজ্যে ব্রিটিশ শাসন
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।