( , , ) এক একটি পাষাণময় শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শিববাড়ীর দীঘির দক্ষিণ ও পশ্চিমভাগে আরও কতিপয় পল্লী বিদ্যমান ছিল। ঐ সকল পল্লীতে ব্ৰাহ্মণপ্রমুখ নানাজাতীয় লোক বাস করিতেন। পূৰ্ব্বে যে সমস্ত পল্লীর কথার উল্লেখ করা হইয়াছে তাছাদের প্রত্যেকের আয়তন এক একটি গ্রামের ন্যায়। প্রতি পল্লিতেই বহুসংখ্যক অট্টালিকা ও জলাশয় বিদ্যমান ছিল। এই সমস্ত স্থলের অধিকাংশ লোক স্বচ্ছল অবস্থায় জীবনযাত্রা নিৰ্বাহ করিতেন। এই জনপদ-বাসিগণের নিরণচ্ছিন্ন আনন্দভোগ বিধাতার চক্ষে অধিক দিন সহ হইল না। অতি অশুভ ক্ষণে অনন্তকাল সাগরে বাঙ্গালী ১২৭৬ সাল আগত হইল। পদ্মানদীর রথখোলা নামক যে শাখ। ক্ষুদ্র কলেবরে প্রবহমাণ ছিল, উহা এই সময় সহস। স্ফীত হইয়া, ক্ষুধাৰ্ত্ত রাক্ষসীর স্থায় করালবদনবিস্তারপূর্বক দ্রুতগতিতে দক্ষিণদিকে অগ্রসর হইতে লাগিল এবং অল্পকালমধ্যেই সমস্ত জনপদ উদরসাৎ করিয়া ফেলিল ! যে স্বরম্য নগরী এক শতাব্দীর অধিককাল ভূতলে বিদ্যমান থাকিয়া বহুসংখ্যক মানবকে বক্ষে স্থান দান করিয়াছিল, যাহার সৌষ্ঠব ও সমৃদ্ধির কাহিনী সমগ্র বঙ্গদেশে খ্যাতিলাভ করিয়াছিল, যাহ। মহারাজ রাজবল্লভের অতুলনীয় কীৰ্ত্তিস্তম্ভরূপে বিরাজমান ছিল, সৌন্দর্য্যের আধারস্বরূপ সেই রাজনগর অচিরকাল মধ্যে এইরূপে কুটিলগতি (১) পদ্মার অত্যুত্তাল প্রবাহ মধ্যে নিমজ্জিত হইয়। ভূতলস্থ যাবতীয় বস্তুর নশ্বরত্ব প্রমাণ করিল। হায়! শোভাসম্পদ ও সৌন্দৰ্য্য এক যোগে অতীতের বিষয়াভূত হইল। সেই অবধি রথখোলা খাল কীৰ্ত্তিনাশা নাম (২) ধারণপূৰ্ব্বক (১) পদ্মার বাক অতি প্রসিদ্ধ r & (২) কেহ কেহ বলেন চাদরায় কেদাররায়ের কীৰ্ত্তি ধ্বংস করিয়া পদ্মানী কীৰ্ত্তিনাশ! আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে। বস্তুতঃ রাজনগর ধ্বংস হওয়ার পূবেব ঐ জনপদের উত্তরভাগে যে ক্ষুদ্রকায় নদী বিদ্যমান ছিল, তাহ রথখোলার নদ নামেই আখ্যাত
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।