( २७8 ) দুৰ্ব্বত্ত কৰ্ম্মচারিগণ বলপূৰ্ব্বক আত্মসাৎ করিত, পাশ্চাত্য বণিকসম্প্রদায়ের স্পদ্ধ। এই সময় এতদূর বৃদ্ধি হইয়াছিল যে, তাহারা জমিদারের অনুমতির অপেক্ষা না করিয়াই সুন্দরবনে প্রবেশ করিয়া লবণের তাফাল সংস্থাপন করিল। পূৰ্ব্বে ব্যবসায়ু পরিচালনার নিমিত্ত তাহারা জমিদারকে যে কর প্রদান করিত, তাহা এক্ষণ হইতে রহিত হইয়া গেল। জমিদারের পক্ষ হইতে কেহ কোম্পানির দস্তক দেখিতে চাহিলে, কুঠারকৰ্ম্মচারিগণ তাহাকে যষ্টি প্রহারে সমুচিত শিক্ষা প্রদান করিতে অণুমাত্রও সংকুচিত হইত না । দম্য-কর্তৃক পণ্য দ্রব্য অপহৃত হইয়াছে’ প্রভৃতি মিথ্যা কথা রটনা করিয়া তাহারা জমিদারের নিকট ক্ষতিপূরণের দাবি করিত, এবং জমিদারের কৰ্ম্মচারিগণ ঐ অর্থ প্রদানে বিলম্ব করিলে কুঠার বরকন্দাজগণ তাহাদিগকে বলপূৰ্ব্বক ধৃত করিয়া নানারূপ লাঞ্ছনা প্রদান করিত। জমিদারের পক্ষ হইতে অধীন তালুকদারগণের দেয় কর সংগ্রহের চেষ্ট হইলেই, কুঠার লোকের তালুকদারের পক্ষাবলম্বন করিয়৷ সেই কার্য্যে পদে পদে বাধা প্রদান করিত (২) । এই সমস্ত কারণে রাজা গঙ্গাদাস নানা অশাস্তিতে কালযাপন করিতেছিলেন, এবং একদা তিনি সাতিশয় বিরক্ত হইয়া জমিদারী ইস্তফা করিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন । এই সময় যপসানিবাসী লাল৷ রাম প্রসাদ, (১) এবং বিক্রমপুর শ্ৰীনগরনিবাসী পূৰ্ব্ব কথিত লাল (*) Long's Unpublished Records of Government, page 408. (১) লাল রামপ্রসাদ অতি স্বপ্রসিদ্ধ ব্যক্তি। বেদগৰ্ভ সেনের নীলকণ্ঠ নামক যে পুত্র যপসাগ্রামে অবস্থান করিতেন, তাহার প্রপৌত্র গোপীয়মন সেনের ছয় পুত্ৰ জন্মে। ঐ ছয় পুত্রের নাম যথাক্রমে ত্ররাম, কৃষ্ণরাম, গোবিন্দরাম, রামমোহন, রাজারাম এবং রঘুনন্দন। গোপীরমণ সেন এই ছয় পুত্রের অবস্থানের নিমিত্ত পৃথক পৃথক ছয় হাবেল নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। উত্তরকালে ইইই যপসার ছয় হাবেলী নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। লাল রামপ্রসাদ পূৰ্ব্বোক্ত কৃষ্ণরামের পুত্র ।
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।