( २७७ ) কেহ কেহ বলেন, একবিংশতি রত্ন নামক তোরণ দ্বার রায় গোপালকৃষ্ণের প্রযত্বে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বাখরগঞ্জ জিলার অন্তর্গত সিদ্ধকাঠী গ্রামনিবাসী, হিঙ্গুবংশীয় মদন নারায়ণ চৌধুরীর বংশোদ্ভব এক বালিকার সহিত রায় গোপালকৃষ্ণের পুত্ৰ পীতাম্বর সেনের উদ্বাহ কাৰ্য্য সম্পাদিত হয়। বিবাহের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে র্তাহাকে বরযাত্র সহ ঐ গ্রামের সমীপবৰ্ত্তী মলছিটি নামক স্থানে কিয়ুৎকাল অবস্থান করিতে হইয়াছিল। সেই উপলক্ষে রায় গোপালকৃষ্ণ ঐস্থলে এক বন্দর ও তার নাম্নী দেবতার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । বাখরগঞ্জ জিলায় যে সমস্ত প্রধান বন্দর বিদ্যমান আছে, নলছিটির বন্দর তন্মধ্যে অন্ততম (১)। বোজরগ উমেদপুর পরগণার অন্তর্গত ফাড়ি মহালের উপর যে রাজস্ব ধাৰ্য্য হইয়াছিল, ১৭৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দে রায় গোপালকৃষ্ণ সেই রাজস্বের দায় হইতে মুক্তি পাইবার নিমিত্ত কলিকাতা কোন্সিলে আবেদন করিয়া কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন । রায় গোপালকৃষ্ণ একদিকে যেমন বুদ্ধিমান ও কাৰ্য্যদক্ষ ছিলেন, পক্ষান্তরে তেমনই স্বার্থীন্ধ হইয়া মাতা, ভ্রাতা ও ভ্রাতুপুত্ৰগণের অনিষ্ট সাধনে পরায়ুখ হন নাই। রাজবল্লভের সহধৰ্ম্মিণীগণ স্ব স্ব আবশ্বক ব্যয় নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত র্তাহার আমলে যে ভূসম্পত্তি নিষ্কর উপভোগ করিতেন, রায় গোপালকৃষ্ণ সেই সমস্ত বাজেয়াপ্ত করিয়া পুত্ৰ পীতাম্বরকে তাহার তালুকদারী স্বত্ব প্রদান করেন । ক্রমে জমিদারীর খাসদথলীয় অধিকাংশ ভূমি পীতাম্বরের নামে নুতন নূতন তালুক স্বত্বে পত্তন হইয়া, পিতৃত্যক্ত ভূসম্পত্তির আয়ের অৰ্দ্ধাংশ পরিমাণ গোপালকৃষ্ণের হস্তগত হয়। এই সময়ে রাজবল্লভের উত্তরাধিকারিগণের মধ্যে কেবলকৃষ্ণ নামে রামদাসের বিধবা পত্নীর দত্তক-পুত্র, রাজকৃষ্ণ, প্রাণকৃষ্ণ, হৃদয়কৃষ্ণ ও (2) History of Backergunge, by Beveridge, page 153.
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।