( ১৯ ) সাধের নব রতন পড়ল যখন নদীর মাঝারে । যেমন নিরাকারে বটপত্র প্রায় ভাসে নীরে । এমন দেখি নাই আর জগৎ সংসারে ॥ (১) বলেন বাবু সবে বিষাদভরে বিধির হল কোপ । একেকালে মহারাজের নামটি করলে লোপ । ( হায় রে ) কীৰ্ত্তিনাশ হয়ে কাল স্বরূপ ৷ অমনি সোণার মঞ্চ দোলমঞ্চ হইল পতন । রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ থাকতে হল এরূপ লাঞ্ছন। বুঝি দেব ধৰ্ম্ম নাই কলিতে এখন ॥ । যদি থাকৃত সত্য মাহাত্ম্য ব্রাহ্মণ দেবতার। তবে কি আর ছিন্ন ভিন্ন হয় রে এ সংসার । জানিলাম কলিতে হবে সব একাকার ॥ হায় রে কীৰ্ত্তিনাশ! কি নিরাশা করলে একেবার । একটি চিহ্ন না রাখিল নাম রাখিতে আর । হায় রে জহ্ন মুনি নাই রে এ সংসার। দেখি স্থলে র্কাদে স্থলচর জলে র্কাদে মীন । আকাশের চন্দ্রস্থৰ্য্য হইল মলিন । হায় রে একুশ রতন পড়িল যে দিন ॥ যত পার্থী সব উড়ে উড়ে ঘুরিয়ে বেড়ায়। আশা বাসা কীৰ্ত্তিনাশা ভেঙ্গে নিয়ে যায় । তারা বসিবার স্থান নাহি পায় ॥ (১) নবরত্ন নামক প্রাসাদ এত সুদৃঢ়ৰূপে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল যে সমস্ত রাজনগর দীগর্ভস্থ হইলেও ঐ প্রাসাদ অনেকদিন পর্যন্ত স্থিরভাবে নদীগর্ভে দণ্ডায়মান ছিল । খন বোধ হইত যেন বিশাল কীৰ্ত্তিনাশার সলিল রাশির অভ্যস্থর হইতে উহা উত্থিত ইয়াছে ।
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।