চতুর্থ পরিচ্ছেদ কৃষ্ণজীবন মজুমদার দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বলা হইয়াছে যে, রামগোবিন্দের কৃষ্ণজীবন নামে একমাত্র পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। রামগোবিন কোন বিষয়-কৰ্ম্মের চেষ্টা না করিয়া সৰ্ব্বদা কেবল পূজা-আহ্নিক-প্রভৃতি ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে লিপ্ত থাকিতেন। একমাত্র ক্ষুদ্র পৈতৃক ভূসম্পত্তিই তাহার জীবিকা নিৰ্ব্বাহের অবলম্বন ছিল, সুতরাং অনেক সময় তাহার পরিবারবর্গ অর্থঙ্কচ্ছত অনুভব করিতেন। কৃষ্ণজীবন বিবাহযোগ্য বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে জ্যেষ্ঠতাত রামচরণ অগ্রবর্তী হইয়া, বাখরগঞ্জ জিলার অন্তর্গত উত্তর সাহাবাজপুর পরগণার জনৈক জমিদারের কন্যার সহিত র্তাহার উদ্বাহকার্য্য সম্পাদন করেন । এই বিবাহে কৃষ্ণজীবন ঐ জমিদারহইতে যৌতুক-স্বরূপ বাখরগঞ্জ জিলার অন্তর্গত লক্ষ্মীদিয়া নামক তপ প্রাপ্ত হন এবং তদবধি রামগোবিন্দের পরিবারবর্গ অর্থঙ্কচ্ছ তা হইতে মুক্তিলাভ করেন। কৃষ্ণজীবন অতিশয় বলবান ও সদাশয় পুরুষ ছিলেন। র্তাহার আহার সম্বন্ধে নানাবিধ কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে তিনি একবারে একটি ছাগের মাংস এবং পাচসের তণ্ডুলের অন্ন অনায়াসে উদরসাৎ করিতে পারিতেন (১) জ্যেষ্ঠতাত রামচরণের অনুগ্রহে কৃষ্ণজীবন ঢাকার নবাব সরকারে কাৰ্য্য লাভ করেন। কেহ কেহ বলেন, তিনি রাজস্ব বিভাগের মজুম (১) কৃষ্ণজীবনের উত্তর পুরুষ ৮জানকীনাখসেন মজুমদারের প্রমুখাৎ এই কথ অবগত হইয়াছি। তিনি বহুকাল ঢাকা ও মুরশিদাবাদে মুখ্যাতির সহিত ডাক্তার ব্যবসায় পরিচালনা করিয়৷ ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে পরলোক গমন করিয়াছেন
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।