( so ) হওয়ায় ফেরকশিয়ার মুরশিদকুলী ধার প্রতি বিরূপ হন। ফেরকশিয়ার সিংহাসন লাভ করিলে, মুরশিদকুলী খাঁ তাহার বগুত৷ স্বীকার করিয়া প্রচুর উপঢৌকন সহ রাজস্ব প্রদান করেন এবং সম্রাটুও প্রতিদান-স্বরূপ মুরশিদকুলী খাকে বাঙ্গাল দেশের নাজিমী পদে নিযুক্ত করেন। এই সময় হইতে বাঙ্গালা দেশের নাজিমী ও দেওয়ানী পদ একই ব্যক্তির হস্তগত হয় (১) । ১৭২৪ খৃষ্টাব্দে মুরশিদকুলী খাঁ, দৌহিত্র সরফরাজ খাকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করিয়া পরলোক গমন করেন। তৎকালে উক্ত সরফরাজের পিতা সুজা । উড়িষ্যা প্রদেশের শাসন-কর্তৃপদে নিযুক্ত ছিলেন। পূৰ্ব্ব হইতেই বাঙ্গালার সিংহাসনের প্রতি তাহার সতৃষ্ণ দৃষ্ট নিবদ্ধ ছিল। নবাবের মৃত্যু সংবাদ কর্ণগোচর হইলে, স্বজা খ উড়িষ্যা-পরিত্যাগ-পূৰ্ব্বক সত্বরপদে মুরশিদাবাদে আগমন করতঃ মুরশিদকুলীর ত্যক্ত সিংহাসন অধিকার করেন। তৎকালে সরফরাজ খ৷ অন্যত্র অবস্থান করিতেছিলেন। পিতার ঈদৃশ আচরণ সংবাদ অবগত হইয়া তিনি নিরতিশয় বিস্ময়াবিষ্ট হন এবং উপায়ান্তর অভাবে অমুচরবর্ণসহ পিতৃ সন্নিধানে আগমন করিয়া তাহার বগুতা স্বীকার করেন (২) । (১) রিয়াজু সেলাতিন প্রণেতা, মুরশিদকুলী খার অত্যন্ত প্রশংসা করিয়াছেন, কিন্তু সায়র মোতাক্ষরীণ প্রণেতার মতে তিনি অতিশয় অত্যাচারী ছিলেন—English Translation of Sair Motakharin by Haji Mostapha vol. I, page 279. (R) Do. page 279.
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।