( t > ) জ্যেষ্ঠ পুত্র নীলকণ্ঠ সেন জপস গ্রামে বাসস্থল নিৰ্ম্মাণ করেন। নীলকণ্ঠের পুত্র রাজেন্দ্র, রাজেন্দ্রের পুত্র শিবরাম এবং শিবরামের পুত্র গোপীরমণ সেন। শ্রীরাম, কৃষ্ণরাম, গোবিন্দরাম, রামমোহন, রাজারাম এবং রঘুনন্দন নামে গোপীরমণের ছয় পুত্র জন্মে। কৃষ্ণরাম ও রামমোহন নবাব সরকারে কর-সংগ্রাহকের কার্য্য করিয়া যথাক্রমে “দেওয়ান” ও “কোরারী” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। কনিষ্ঠ রঘুনন্দনও নবাব সরকারের কার্য্য করিতেন ; কোন কারণে তিনি নবাবের বিরাগভাজন হইলে তাহার শিরশ্বেদনের অনুজ্ঞা প্রচারিত হয়। এই সময় তিনি পলায়ন করিয়া আত্মরক্ষা করেন। অতঃপর তাহাকে দরবারে উপস্থিত করিবার নিমিত্ত নবাব সরকার হইতে কৃষ্ণরাম ও রামমোহনের প্রতি আদেশ লিপি প্রচারিত হইলে, তাহারা ভ্রাতার জীবন রক্ষার উপায়ান্তর অভাবে “রঘুনন্দন কালগ্রাসে পতিত হইয়াছেন” এই মিথ্য সংবাদ প্রচার করেন। র্তাহীদের এই কৌশলে ঐ আদেশের প্রত্যাহার হইল বটে, কিন্তু রঘুনন্দন আর সাহস করিয়া রাজকীয় কাৰ্য্য লাভের চেষ্টা করিতে পারিলেন না এবং গোপনে স্বগ্রামে আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন। পারসিক বিদ্যায় রঘুনন্দন সাতিশয় বুৎপন্ন ছিলেন। এই সময় অনেক বিদ্যার্থী র্তাহার পাদপ্রান্তে উপবেশন পূৰ্ব্বক পারসিক শিক্ষা করিত। জপসা গ্রামে গোপীরমণ সেনের আবাসস্থলে “পঞ্চরত্ন” নামক এক অট্টালিকা বিদ্যমান ছিল। রঘুনন্দন এই গৃহে পারসিক ভাষার অধ্যাপনা করিতেন। অনেকের মতে রাজবল্লভ এই স্থলেই পারসিক ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন । সমস্ত অবস্থা পর্যালোচনা করিলে এই উক্তিই প্রকৃত বলিয়া অনুমিত হয়। কথিত আছে যে, রাজবল্লভ উচ্চ রাজ-কাৰ্য্য লাভ করিয়া প্রতিবর্ষে গোপীরমণ সেনের গৃহে “ভেট” প্রেরণ করিতেন। এই ভেট, শিক্ষালাভের প্রতিদানস্বরূপ ভক্তির উপহার বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। রঘুনন্দন সেনের
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।