( 4.8 ) নেফিছ বেগমের প্ররোচনায় নবাব মুজা খা গালিব আলিকে পদচ্যুত করিয়া মুরাদ আলিকে ঢাকার প্রতিনিধি শাসনকর্তৃপদ প্রদান করেন । নুতন শাসনকৰ্ত্ত। রাজবল্লভকে অতিশয় প্রতির চক্ষে নিরীক্ষণ করিতেন এবং অবিলম্বে তিনি ঐ হিন্দু কৰ্ম্মচারীকে নাওয়ার বিভাগের পেস্কারী পদে উন্নীত করিয়া অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন (১)। ১৭৩৯ খৃষ্টাব্দে নবাব সুজ। খ। পরলোক গমন করিলে সরফরাজ খা বাঙ্গালার সিংহাসনে অধিরোহণ করেন। এই সময় রাজবল্লভের ভাগ্যদেবতা সাতিশয় অমুকুল ছিলেন। নবাব সরফরাজ খার অনুকম্পায় রাজবল্লভ অচিরে নাওয়ার বিভাগের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হইলেন (২) । কিরূপে রাজবল্লভ প্রথম রাজকাৰ্য্য লাভ করেন এবং কিরূপে র্তাহার পদোন্নতি সংঘটিত হয়, তৎসম্বন্ধে বিভিন্ন প্রকার প্রবাদ প্রচলিত আছে। নিম্নে একে একে ঐ সমস্ত প্রবাদ উদ্ধৃত করিয়া পৰ্য্যালোচনা করা যাইতেছে । বরিশাল নিবাসী মুরসিক শ্ৰীযুক্ত বাবু হরনাথ ঘোষ মহাশয় প্রচলিত গল্প সংগ্ৰহ করিয়৷ “বিবিধ-গল্প” নামে একখানি পুস্তক প্রচার করিয়াছেন। ঐ পুস্তকে রাজবল্লভ সম্বন্ধে লিখিত আছে যে, বিক্রম (১) কেহ কেহ বলেন রাজবল্লভের রমণীয় দেহকাস্তি ও প্রতিভা সমম্বিত মুখমণ্ডল অবলোকনে মুরাদ আলি তৎপ্রতি আকৃষ্ট হইয়া উহার পদোন্নতি বিধান করেন। ইতিপূৰ্ব্বেই রাজবল্লভ মল্পবিদ্যা ও তরবারি সঞ্চালনে পটুত লাভ করিয়াছিলেন, মুরাদ আলির প্রযত্বে তিনি এই বিষয়ে অধিকতর নৈপুণ্য লাভ করেন। সফররাজ খার নবাবী আমলে রাজবল্লভ যে “নওয়ার” বিভাগের অধ্যক্ষপদ লাভ করিয়াছিলেন, ভদ্বারা প্রতীয়মান হইতেছে যে রাজবল্লভ এই সময় যুদ্ধ-বিদ্যায় পারদর্শী হইয়া উঠিয়৷ ছিলেন। যে ব্যক্তি যুদ্ধ-বিদ্যায় অনভিজ্ঞ, তাহার পক্ষে ঐ বিভাগের কর্তৃত্ব লাভ করা কদাপি সম্ভবপর নহে । - - (*) Stewart's History of Bengal, Pages 267, : 308.
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।