( & & ) পুরের অন্তর্গত মালাখানগর নিবাসী নরসিংহ দাস বসু নবাব সরকারে কানুনগুর কার্য্য করিতেন। একদা সালতামামা দেওয়ার সময় তিনি রাজবল্লভকে সঙ্গে করিয়া মুরশিদাবাদে গমন করেন । এই সময় রাজবল্লভ অতি অল্পবয়স্ক ছিলেন এবং কানুন গুর সিরিস্তায় শিক্ষণনবিলী কাৰ্য্য করিতেন। যথাসময়ে নবাব দরবারে কানুনগু বিভাগের নিকাশ উপস্থিত হইলে, নবাব তাহা দৃষ্টি করিয়া নরসিংহ দাস বমুকে ঐ নিকাশ লেখকের নাম জিজ্ঞাস করেন ; কানুনগুর আদেশে রাজবল্লভই ঐ নিকাশ লিখিয়াছিলেন। তিনি মনে করিলেন রাজবল্লভ বাল্যসুলভ চপলতা বশতঃ নিকাশে গোলযোগ করিয়াছেন বলিয়াই নবাব লেখকের * নাম জানিতে চাহিয়াছেন ; সুতরাং কিয়ৎকাল ইতস্ততঃ করিয়া তিনি রাজবল্লভের প্রতি অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “হুজুর এই বালক এই নিকাশ লিখিয়াছে। প্রকৃত প্রস্তাবে নবাব নিকাশ লেখকের লিপি নৈপুণ্যে প্রীত হইয়াছিলেন, এক্ষণে ঐ বালকের রমণীয় দেহকাস্তি নিরীক্ষণ করিয়া তিনি তৎপ্রতি অধিকতর সন্তুষ্ট হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ মাসিক পঞ্চাশ টাকা বেতনে তাহাকে জগৎশেঠের সিরিস্তায় মোহরের পদে নিযুক্ত করিলেন । এই ঘটনার পর ৪ । ৫ বৎসর অতীত হইলে দিল্লির দরবার হইতে মুরশিদাবাদে নবাবের প্রতি পরোয়ানা প্রচারিত হইল যে, তাহাকে এক সপ্তাহ মধ্যে তের লক্ষ টাকা সম্রাট সদনে প্রেরণ করিতে হইবে । নবাব পাচ দিবসের চেষ্টায় তিন লক্ষ টাকা সংগ্ৰহ করিয়া অবশিষ্ট মুদ্র সংগ্রহের নিমিত্ত উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। এই সময় রাজবল্লভ কথা প্রসঙ্গে জগৎশেঠের নিকট বলিলেন, আমি এক দিনের জন্য ও নবাবীপদ লাভ করিলে তের লক্ষের তিন গুণ টাকা সংগ্ৰহ করিতে পারি। জগৎশেঠ ঐ কথা নবাবের নিকট জ্ঞাপন করিলে, নবাব রাজবল্লভকে তৎপরবর্তী দিবসের নিমিত্ত নবাবী তক্ত প্রদান করিতে সন্মত হইলেন। পরদিন রাজবল্লভ নবাবী পদ লাভ করিয়া
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।