(. ه وه ) পিতা জানকীরাম, পাটনার গবর্ণর রামনারায়ণ, ইতিহাস-প্রসিদ্ধ মোহনলাল প্রভৃতি ব্যক্তিগণ জীবনের প্রথমভাগে অতি সামান্ত অবস্থাপন্ন ছিলেন । অথচ তাহারা সকলেই স্ব স্ব প্রতিভাবলে উন্নত পদবীতে আরোহণ করিয়া রাজা মহারাজ প্রভৃতি উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। নৰাবী আমলে রাজোপাধি লাভ করিতে হইলে যে পুৰ্ব্বপুরুষগণের সম্মানস্বচক নিদর্শন পত্র উপস্থিত করিতে হইত, তাহার কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নাই। মুসলমান শাসনকালে যে অনেক নিম্ন শ্রেণীস্থ হিন্দু উচ্চ রাজসন্মান লাভ করিয়াছিলেন তাহার ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত বিদ্যমান আছে। অতএব রাজবল্লভের বেলায় সোণারগ পরগণায় রাজসনন্দ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায় না। এই সময় রাজবল্লভের ঘনিষ্ট জ্ঞাতি, যন্স নিবাসী কৃষ্ণরাম দেওয়ান ও রামমোহন কোরাবীর আলয়ে রাজকীয় ‘পাঞ্জা’ বিদ্যমান ছিল । রাজোপাধি লাভ করিতে ঐক্লপ কোন নিদর্শন পত্রের আবশুক হইলে তাহ অনায়াসে সমীপবৰ্ত্তী যক্ষাগ্রাম হইতেই সংগৃহীত হইতে পারিত। প্রবন্ধ লেখক কি প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া এই উক্তি করিয়াছিলেন তাহ লিখিত হয় নাই। দুঃখের বিষয় এপর্য্যন্ত ঐ লেখকের নাম জানিতে পারি নাই। বোধ হয় তিনি কৃষ্ণদেব রায়ের ও তদ্বংশীয়গণের মৰ্য্যাদা বুদ্ধির দুরাকাঙ্ক্ষ্য প্রণোদিত হইয়াই রাজবল্লভের প্রতি এইরূপ অন্যায় আরোপ করিয়াছিলেন। শ্ৰীযুক্ত বাবু হরনাথ ঘোষ মহাশয়ের প্রচারিত উক্তি গল্প ভিন্ন আর কিছুই নহে। প্রকৃত্ত প্রস্তাবে নরসিংহ দাস বক্স নামে মালখানগরে কেহ ছিলেন কিনা সন্দেহ এবং আবশুক পরিমাণু, টাকা সংগ্রহ বিষয়ে রাজবল্লভের যে কৌশল অবলম্বন করার কথা উহাতে লিখিত আছে, তাহা কোন ঐতিহাসিক ভিত্তিমূলক বলিয়া জানা যায় না। কৈলাস বাবু এ সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তাহ হরনাথ বস্থর প্রচারিত গল্পমূলক ৰলিয়াই অনুমান করা যাইতে পারে। রাজবল্লভ যে প্রথমতঃ
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।