পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७२ ) উচ্চপদস্থ কৃষ্ণরাম দেওয়ান ও রামমোহন কোরাবী জ্ঞাতি রাজবল্লভের উন্নতিলাভ বিষয়ে সাহায্য করা অস্বাভাবিক নহে । খানসাম কর্তৃক চুণ ক্রয় করা বিষয়ে যে কিম্বদন্তী প্রচলিত আছে, তাহার সত্যতা নির্ণয় করা সহজ ব্যাপার নহে। তবে ঐ সম্বন্ধে এই মাত্র বলা যাইতে পারে যে, ঐ গল্পে যে নবাবের বিষয় বিবৃত হইয়াছে, তিমি ও সরফরাজ খ৷ একই ব্যক্তি হইতে পারেন। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে এই নবাবের আমলে রাজবল্লভ নাওয়ার বিভাগের অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। সম্ভবতঃ পেস্কারি কার্য্যোপলক্ষে তিনি ঐ বিভাগের নিকাশ লইয়া মুরশিদবাদে গমন করিয়াছিলেন এবং ঐ সময় সরফরাজ খার অনুগ্রহলাভ করিয়া অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । - • . . . - অনেকে অনুমান করেন যে, কৈলাস বাবু ইচ্ছা করিয়াই এ বিষয়ে মৌনাবলম্বন করিয়াছেন। রাজবল্লভ সম্বন্ধীয় প্রবন্ধে তিনি যে স্থলে দুল্লভরাম প্রভৃতির উল্লেখ করিয়াছেন, ঐস্থলে তাহাদিগের প্রতি মহারাজ উপাধি প্রয়োগ করিতে র্তাহার কদাচ বিস্মৃতি ঘটে নাই, কেবল রাজবল্লড়ের বেলায় তিনি তাহাকে রাজা উপাধি দিয়াই সন্তুষ্ট রছিয়াছেন। সৌভাগ্যক্রমে রাজবল্লভের মহারাজ উপাধি সম্বন্ধে Longs Unpublished Records of Government atax foa son s 38. পৃষ্ঠায় অকাটা প্রমাণ বিদ্যমান আছে। অদ্যপি বিক্রমপুর অঞ্চলের অধিকাংশ লোক রাজবল্লভের কথা বলিতে হইলে তাহার নাম গ্রহণ করিয় তাহাকে “রাজনগরের মহারাজ” বলিয়াই উল্লেখ করিয়া থাকে। রাজবল্লভের উত্তর পুরুষগণকে এখন পর্য্যন্তও দক্ষিণ বিক্রমপুরের লোকে “মহারাজ” বলিয়াই সম্বোধন করিতেছে ।