( Tos ) রাজবল্লভের দ্বিতীয় পত্নী বারেন্দ্র সমীপস্থ নাটোর অঞ্চলবাসী বৈদ্যকল্প এবং কনিষ্ঠ পত্নী বৰ্দ্ধমানের অন্তর্গত শ্ৰীখও নিবাসী গোস্বামিবংশ সস্তুত। তিনি স্বেচ্ছাবশতঃই এই উভয় রমণীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । এই সময় বরেন্দ্র, রাঢ় ও বঙ্গ এই তিন সমাজস্থ বৈদ্যগণ মধ্যে পরস্পর আদান প্রদান প্রথা রহিত হইয়াছিল। লোকে বলে, রাজবল্লভ ঐ তিন সমাজস্থ বৈদ্যগণ মধ্যে পরস্পর আদান প্রদান প্রথা প্রচলন করিবার উদ্দেশ্যে এই শেষোক্ত দুই মহিলার পাণিগ্রহণ করেন। - শ্ৰীখও সমাজস্থ কোন বৈদ্যের কন্যা যে রাজবল্লভের সহিত পরিণীতা হইয়াছিলেন, তাহা শ্ৰীখও গ্রামনিবাসী ত্রযুক্ত বাবু হুর্গাচরণ চৌধুরী মহাশয় অস্বীকার করেন। বিক্রমপুর সমাজে এই বিবাহের বিষয় এতদূর রাষ্ট যে, দুর্গাচরণ বাবুর উক্তির প্রতি নির্ভর করিয়া তাহা অবিশ্বাস করা যাইতে পারে না। ঐখণ্ড গ্রামে অদ্যাপি মহারাজ রাজবল্লভের প্রতিষ্ঠিত ভূতনাথ দেবের মন্দির বিদ্যমান আছে। বিক্রমপুর সমাজস্থ লোকেরা বলেন ঐ মন্দির রাজবল্লভের শ্বশুরালয়ে সংস্থাপিত হইয়াছিল। মহারাজের উত্তর পুরুষ শ্রযুক্ত বাবু প্রতাপচন্দ্র সেন মহাশয় বলেন,তাহার স্বৰ্গীয় পিতৃদেব ঐ মহিলাকে স্বচক্ষে নিরীক্ষণ করিয়াছেন এবং তিনি তাহার পিতার নিকট হইতেই এই বৃত্তান্ত অবগত হইয়াছেন। কলিকাতা হাইকোর্টের উকিল, রায়চাদ প্রেমচাদ বৃত্তিধারী শ্ৰীযুক্ত বাবু প্রিয়ুনাথ সেন, এম এ, বি এল, মহাশয় বলেন, রাজবল্লভের স্তায় রামানন্দ সরকারও প্রথও সমাজস্থ এক মহিলার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। এই শেষোক্ত রমণীর নাম গোবিন্দপ্রিয়। প্রিয় বাবু বলেন, এই মহিলার হস্তাক্ষর সাতিশয় মুত্র ছিল এবং অস্থাপি তাহাদের গৃহে ঐ হস্তাক্ষর বিদ্যমান আছে। ত্রখণ্ডনিবাসী দুর্গাচরণ চৌধুরী মহাশয়ের মত এই যে, যজ্ঞোপবীতের পদ্ধতি জানিবার
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।