পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৯ ) না। মুজ খাঁর আমলে রায় রায়ান আলাম চাদ, জগৎশেঠ ফতেচাদ এবং হাজি আহাম্মদ প্রভৃতি যে সমস্ত অমাত্যের পরামর্শে রাজকীয় কার্য পরিচালিত হইত, সরফরাজ খাঁ ক্রমশঃ তাহাদের প্রত্যেকেরই অসন্তুষ্ট উৎপাদন করিলেন। হাজি লতিফুল্লা, মর্দান আলি খ এবং মীর মৰ্ত্ত জাপ্রভৃতি কয়েক ব্যক্তি নবাবের প্রিয়পাত্র হইল। যুবক মীর মৰ্ত্ত জ। প্রবীণ হাজি আহাম্মদের পদলাভ করিল। ভূতপূৰ্ব্ব নবাবের মনোরঞ্জনের নিমিত্ত হাজি আহাম্মদ বারবনিতা সংগ্ৰহ করিতেন । সরফরাজ খাঁ এ নিমিত্ত তৎপ্রতি সাতিশয় বিরূপ ছিলেন। এক্ষণে তিনি ঐ বিষয় উল্লেখ করিয়া বৃদ্ধ অমাত্যের প্রতি বিদ্রুপ-বাণ বর্ষণ করিতে লাগিলেন (১)। ধূৰ্ত্ত হাজি আহাম্মদ প্রকাতে নবাবের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করিয়া, ব্যয় সংক্ষেপের ছলে র্তাহাকে সৈন্ত সংখ্যা হ্ৰাস করিবার পরামর্শ দিলেন এবং গোপনে ভ্রাতা মহম্মদ আলির নিকট তৎপ্রতি যে সমস্ত অত্যাচার হইতেছে, তাহ অতিরঞ্জিতভাবে লিখিয় তাহাকে সরফরাজ খার বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । এই সময় দিল্লির রাজসভায় ইছাহাক খা নামক জনৈক সচিব বিদ্যমান ছিলেন। মহম্মদ আলি ঐ অমাত্যকে হস্তগত করিয়া তাহার সহায়তায় বাদসাহ হইতে বাঙ্গাল, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের নাজিমী পদের সনন্দ সংগ্ৰহ করিলেন। মুরশিদকুলী খার সময় রাজকোষের সাত কোটি টাকা জগৎশেঠের নিকট গচ্ছিত ছিল । সরফরাজ খাঁ ঐ টাকা প্রত্যপণের নিমিত্ত পীড়াপীড়ি করায় জগৎশেঠ ফতেচাদ নিরতিশয় বিরক্ত হইয়া গোপনে সরফরাজের বিরুদ্ধে মহম্মদ আলির সহায়তা () English Translation of Sair Motakharin by Haji Mostapha, Page 326 and 327.