( ৯১ ) হাটি-নামক গ্রামে বাস করিতেন এবং চন্দনীমহলের মণ্ডলেশ্বর ছিলেন। রবিসেন মহামণ্ডল লোকান্তরিত হইলে তদীয় খুল্লতাত । উচলি-সেনের পুত্র বিজয়-সেন অধিকারী এই সম্মানস্বচক পদ লাভ করেন। বিজয়-সেনের পর ক্রমে তৎপুত্র ও পৌত্র বঙ্গীয় বৈদ্যসমাজের অধিনায়কত্ব করিয়া গিয়াছেন । বিজয়-সেনের পৌত্রের নাম রামচন্দ্র-সেন। রামচন্দ্র সেন পরলোক গমন করিলে এই সমাজ অনেক কাল পর্য্যস্ত কর্ণধার-বিহীন তরণীর ন্যায় সমাজপতি-বিরহিত হছয়া কালঘাপন করিয়াছে। বঙ্গীয় বৈদ্যসমাজে যে যে বংশীয়গণ কুলীন শ্রেণীতে অবস্থিত আছেন, ভষ্মধ্যে বিষ্ণুদাশের সন্তানগণ অন্যতম। বৰ্ত্তমান খুলনা জেলার অন্তর্গত মূলঘর গ্রামে এই বংশে রাজা হরিনাথ রায়ের জন্ম হয়। রাজা হরিনাথ কুলীন সম্প্রদায় মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করিবার অভিপ্রায়ে একদা চন্দন (১) নামক সামাজিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ করেন । হরি (১) “চন্দন একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। বিবাহ ও দত্তকগ্রহণপ্রভৃতি মাঙ্গলিক উৎসবে ইহার অনুষ্ঠান হইয় থাকে । চন্দন উপলক্ষে সমস্ত বৈদ্য সপ্তানগণকে নিমন্ত্ৰণ করিতে হয়। নির্দিষ্ট দিবসে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ সমবেত হইলে, এক সভামণ্ডপে তাহার। সমাসীন হন । সভার সর্ববপ্রধান স্থানে সমাজপতি এবং তঁহার উভয় পাশ্বে অরবিন্দ, বিকৰ্ত্তন এবং প্রভাকর বংশীয় বৈদ্যগণ উপবেশন করেন। তৎপর অস্তান্ত বংশীয় কুলীনগণ, অষ্টঘর শ্রেণীস্থ বৈদ্যগণ এবং অপরাপর বংশীয় বৈদ্য-সন্তান ক্রমন্বয়ে উপবিষ্ট হইলে, কৰ্ম্মকৰ্ত্ত। ঐ সভাস্থলে আসন পরিগ্রহ করেন। অতঃপর জনৈক কুলাচাৰ্য্য চন্দনদ্বারা কৰ্ম্মকৰ্ত্তার ললাটে তিলক প্রদান করেন এবং তৎপর সমাজপতি, তাহার উভয়পার্থে উপবিষ্ট কুলীন সন্তানগণের ও অন্তান্ত উপস্থিত ব্যক্তিগণের কপালে ক্রমান্বয়ে তিলক প্রদান করিয়৷ কাৰ্য্যশেষ করেন । এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে সমস্ত ব্যক্তি আগমন করেন, তাহারা বংশ মর্য্যাদায় কৰ্ম্মকৰ্ত্ত। অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হইলে কৰ্ম্মকৰ্ত্তা তাহাদিগকে উপযুক্ত “বিদায়" প্রদান করিয়া থাকেন। এইরূপ
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।