পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

하 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত শিলঞ্জীও এইরূপ সমাদর পাইয়া যথেষ্ট সন্মানিত হইলেন । রাজা জয়সিংহ ক্ষণেক মিষ্টালীপ করিয়া অবশেষে বলিলেন,—রাজন। আপনি আমার শিবিরে আলিম আমাকে সম্মানিত করিয়াছেন, এই শিবির আপন গৃহের দ্যায় বিবেচনা করিলেন ; শিবাজী। রাজন ! এ দাস কবে আপনার আজ্ঞা পালনে বিমুখ ? রঘুনাথপন্ত দ্বারা আপনি দাসকে জাপিতে আদেশ করিয়াছিলেন, দাস উপস্থিত হইয়াছে। আপনার মহৎ আচরণে আমিই সম্মাণিত হইয়াছি। জয়সিংহ । ইi, রঘুনাথ দ্যায়শাস্ত্রীকে যাহা বলিয়াছিলাম, তাহ স্মরণ অাছে। রাজন্ ! আমি যাহা বলিয়াছিলাম, তাহা করিব, দিল্লীশ্বর আপনার বিদ্রোহীচরণ মার্জনা করিবেন, আপনাকে রক্ষণ করিবেন, আপনাকে যথেষ্ট সন্মাণ করিবেন। এ বিষয়ে আমি বাক্যদান করিয়াছি, রাজপুতের কথা অস্তথা হয় না । এইরূপে ক্ষণেক কথোপকথনের পর সভা ভঙ্গ হইল, শিবিরে শিবঞ্জী ও জয়সিংহ ভিন্ন আর কেহই রহিল না । তখন শিবাজী কপট আনন্দচিহ্ন ত্যাগ করিলেপ, হস্তে গণ্ডস্থল স্থাপন করিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন, জয়সিংহ দেখিলেন, তাহার চক্ষে জল । জয়সিংহ । রাজন! আপনি যদি আত্মসমপণ করিয়া ক্ষুণ্ণ হইয়া থাকেন, সে খেদ শিম্প্রয়োজন । আপনি বিশ্বাস করিয়া আমার নিকটে আসিয়াছেন, রাজপুত বিশ্বস্তের উপর হস্তক্ষেপ করিবে না । অদ্যই রজনীতে আমার অশ্বশালা হইতে অশ্ব বাছিয়া লউল, পুনরায় প্রস্থান করুন। আপনি নিরাপদে আসিয়াছেন, নিরাপদে যাইবেন, আমার আদেশে কোন রাজপুত আপনার উপর হস্তক্ষেপ করিবে না। পরে যুদ্ধে জয়লাভ করিতে পারি ভাল, না পারি, ক্ষতি নাই, কিন্তু ক্ষত্রিয়ধৰ্ম্ম কদাচ ৰিস্বত হুইব না।