পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У a o মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত সঙ্কুচিত হয়েন নাই। সুতরাং শিবজী এক্ষণে জয়সিংহের পক্ষাবলম্বন করিয়া বিজয়পুরের মুলতান আলী আদিলশাহের সহিত যুদ্ধারম্ভ করিলেন, এবং আপন মাউলী সৈন্তদ্বারা বহুসংখ্যক্ দুর্গ হস্তগত করিলেন। জয়সিংহের সহিত শিৰঞ্জীর সপ্তাব উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি হইতে লাগিল, এবং পরস্পরের মধ্যে অতিশয় স্নেহ জন্মাইল। উভয়ে সৰ্ব্বদাই একত্র থাকিতেন ও যুদ্ধে পরস্পরের সহায়তা করিতেন । ৰলা বাহুল্য যে, শিবজীর একজন তরুণ হাবিলদার সর্বদাই জয়সিংহের একজন পুরোহিতের সদনে যাইতেন । নাম ৰলিবার কি আবহ্যক আছে ? সরলস্বভাব পুরোহিত জনাৰ্দ্দন ক্রমে রঘুনাথকে পুত্রবৎ দেখিতে লাগিলেন, সৰ্ব্বদাই গৃহে আহবান করিতেন। রঘুনাথও অবসর পাইলেই সেই সরলস্বভাব পুরোহিতের নিকট অrলিতেম, তাহার নিকট রাজস্থানের সংবাদ পাইতেন, রাজা জয়সিংহের কথা শুনিতেন, স্বদেশের কথা শুনিতেন। কখন কখন বা রজনী দ্বিপ্রহর পর্য্যস্ত বলিয়া যুদ্ধের কথা কহিতেন, পৰ্ব্বতদুর্গ আক্রমণের কথা, শুক্র-শিবির আক্রমণের কথা, জঙ্গল ৭ গিরিচুড়ায় ভীষণ যুদ্ধের কথা বর্ণনা করিতেন। এ সকল কথা বলিতে বলিতে যোদ্ধার নয়ন প্রজ্বলিত হইত, স্বর কম্পিত হইত, মুখমণ্ডল আরক্ত হইয়া উঠিত। বৃদ্ধ জনাৰ্দ্দন সভয়ে যুদ্ধবাৰ্ত্তা শুনিতেন, পাশ্বের ঘরে নীরৰে বসিয়া সংযুবালা সেই জলস্ত কথাগুলি শুনিতেন, নীরবে অশ্রািজল ত্যাগ করতেন, নীরবে ভগবানের নিকট সেই তরুণ যোদ্ধাকে রক্ষা করিৰার জন্য প্রার্থনা করিতেন"। রজনী দ্বি প্রহরের সময় কথা । সাঙ্গ হুইত, সরযূবালা হাছার আনিয়া দিতেন, যতক্ষণ রঘুনাথ আহার করিতেন, সরযূ নীরবে সেই দেবমূর্তির দিকে চাছিয়া