পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ১০৭ “শিবজীকি জয়" শব্দ করিয়াছিলেন। সেই যোদ্ধ। রঘুনাথজী হাবিলদার ! হিন্দু ও মুসলমান এক মুহূর্তের জন্য যুদ্ধে ক্ষান্ত হইয়া বিশ্বয়োৎফুল্ল লোচনে তারকালোকে সেই দীর্ঘ ঘূৰ্ত্তির প্রতি দৃষ্টি কংিল। যোদ্ধার লৌহনিৰ্ম্মিত শিরস্ত্রাণ তাঁরকালোকে চক্‌মক্‌ করিতেছে, হস্ত ও বাহুদ্বয় রক্তে আপ্লত, বিশাল বৃক্ষের উপর দুই একটি তীর লাগিয়া রছিয়াছে দীর্ঘহস্তে রক্তাঃ ত দীর্ঘ বর্শা, উজ্জল নয়ন, গুচ্ছ গুচ্ছ কৃষ্ণকেশে আবৃত। পোতের সম্মুখে উম্মিরাশির ন্যায় শক্রর এই যোদ্ধার দুই পাশ্বে মুহূর্তের জন্ত সচকিত হইয়া সরিয়া গেল, মুহূর্তের জন্য ৰেtধ হুইল যেন স্বয়ং রণদেব দীর্ঘ বর্ণহস্তে আকাশ হইতে প্রাচীরোপরি অবতীর্ণ হইয়াছেন। ক্ষণকালমাত্র সকলে নিস্তব্ধ রছিল, পরে আফগানগণ শত্র প্রাচীরে উঠিয়াছে দেখিয়া চারিদিক্ হইতে বেগে আসিতে লাগিল, রঘুনাথকে চারিদিকে শক্রদল কৃষ্ণমেঘের স্তায় আসিয়া বেষ্টন করিল। রঘুনাথ খড়গ ও বর্শা-চালনে অদ্বিতীয়, কিন্তু শত লোকের সহিত যুদ্ধ অসম্ভব, রঘুনাথের জীবনসংশয়। তখন মাউলীগণ রঘুনাথের বিক্রম দেখিয়া উৎসাহিত হইয়া সেই প্রাচীরের দিকে ধাবমান হইল, ব্যান্ত্রের স্থায় লম্ফ দিয়া প্রাচীরে উঠিল, রঘুনাথের চারিদিকে বেষ্টন করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল। দশ, পঞ্চাশ, দুই তিন শত জন সেই প্রাচীরের উপর বা উভয় পাশ্বে আসিয়া জড় ছইল, ছুরিকা ও খড়গাঘাতে পাঠানদিগের সারি ছিন্ন ভিন্ন করিয়া পৰ পরিষ্কার করিল, মহানাদে দুর্গ পরিপূরিত করিল! সহস্র মহারাষ্ট্রয়ের সহিত দুই তিন শত পাঠানের যুদ্ধ করা সম্ভব নহে, তাহারা মহারাষ্ট্ৰীয়ের গতিরোধ করিতে পারিল না ।