পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ללל উৎকৃষ্ট, এই স্থানেই আমার থাকা বৰ্ত্তব্য । আমার হাবিলদারদিগের মধ্যে কে দুই শত মাত্র সেনা লইয়া ঐ আফগানদিগকে অন্ধকারে সছল আক্রমণ করিমু পরাস্ত করিতে পরিবে ? পাচ, সাত, দশজন হাবিলদার একেবারে দণ্ডায়মান হইলেন, সকলে গোল করিয়া উঠিল। রঘুনাথ তাছাদের এক পাশ্বে দণ্ডায়মান হইলেন, কিন্তু কথা কছিলেন না, নি:শব্দে মৃত্তিকার দিকে চাহিয়া রছিলেন। শিৰঙ্গী ধীরে ধীরে সকলের দিকে চাহিয়। পরে রঘুনাথকে দেখিয়া ৰলিলেন,—হাবিলদার । তুমি ইঙ্গদের মধ্যে সৰ্ব্বকনিষ্ঠ, কিন্তু ঐ ৰাহুতে তুমি অম্বরবীর্য ধারণ কর, অদ্য তোমার বিক্রম দেখিয়া পরিতুষ্ট হইয়াছি। রঘুনাথ ! তুমিই অদ্য দুর্গবিজয় আরম্ভ করিয়াছ, তুমিই শেষ কর । রঘুনাথ নি:শব্দে ভূমি পৰ্য্যস্ত শির নামাইয়। দুইশত সেনার সহিত বিদ্যুৎগতিতে নয়নের বহির্গত হইলেন। শিবঞ্জী তরঙ্গীর দিকে চাহিয় বলিলেন,—ঐ হাবিলদার রাজপুতজাতীয়, উছার মুখমণ্ডল ও আচরণ দেখিলে কোন উন্নত বীরবংশোদ্ভব বলিয়া ৰোধ হয় । কিন্তু হাবিলদার কখনও বংশের বিষয় একটি কথাও বলে না, আপন অসাধারণ সাহল সম্বন্ধে একটি গৰ্ব্বিত বাক্য উচ্চারণ করে না। একদিন পুনায় রঘুনাথ আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছিল, আদ্য রঘুনাথই দুর্গবিজয়ে অগ্রসর হইয়াছিল । আমি এ পর্য্যন্ত কোন ও পুরস্কার দিই নাই, কল্য রাজসভায় রাজ। জয়সিংহের সম্মুখে রাজপুত হাবিলদারকে উচিত পুরস্কার দিব । রঘুনাথজী যে কার্য্যের ভার লইলেন, তাহা সম্পন্ন করিলেন । আফগানগণ যখন পৰ্ব্বত আরোহণ করিতেছে, এমন সময়ে প্রাচীরের উপর হইতে মহারাষ্ট্রীয়গণ বর্শ নিক্ষেপ করিল, পরে “হর হুর মহাদে ও”