পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত 3Հe হইত। যুদ্ধে যে স্থানে অতিশয় বিপদ,- যে স্থানে শক্র ও মিত্রের শব রাণীকৃত হইতেছে, যে স্থানে ধূলি ও ধূমে গগন আচ্ছাদিত হইতেছে, যে স্থানে বিজেতার হুঙ্কারে ও আর্তের আর্তনাদে কর্ণ বিদীর্ণ হইতেছে, তথায় অন্বেষণ কর, পঞ্চদশ বর্ষের অন্নভাষী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বালককে তথায় পাইবে । যুদ্ধ সমাপ্ত হইলে যে স্থানে যুদ্ধজয়ী সেনাগণ একত্র হইয়। রজনীতে গীত-বাস্ত করিতেছে, হস্ত ও আমোদ করিতেছে, চঞ্জরাও তথায় নাই । অল্পভাষী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বালক শিবিরে অন্ধকারে একাকী বসিয়া রহিস্থাছে, অথবা কু।ঞ্চত ললাটে প্রশস্তরে বা নদীতীরে একাকী সায়ংকালে পদচারণ করিতেছে। চন্দ্রর ওয়ের উদ্দেশু কতক পরিমাণে সাধিত হইল, তিনি এক্ষণে অজ্ঞাত রাজপুত-শিশু নহেন। তাহার পদবৃদ্ধি হইয়াছে, গজপতিসিংহের অধীনস্থ সমস্ত সেনার মধ্যে চন্দ্ররাও এক্ষণে একজন অসাধারণ তেজস্বী বীর বলিয়া পরিচিত। মর্যাদা বৃদ্ধির সহিত চন্দ্ররাওয়ের উচ্চাভিলাষ ও গৰ্ব্ব অধিকতর বৃদ্ধি পাইল । একদিন একটি যুদ্ধে চন্দ্ররাও গজপতিকে পরম বিপদ হইতে উদ্ধার করেন। গজপতি যুদ্ধের পর চন্দ্ররাওকে নিকটে ডাকিয়া সকলের সম্মুখে যথোচিত সন্মান কবিয়া বলিলেন,–চন্দ্ররাও ! অদ্য তোমার সাহসেই আমার প্রাণরক্ষা হইয়াছে ; ইহার পুরস্কার তোমাকে কি দিতে পারি ? চন্দ্ররাও মুখ অবনত করিয়া বিনীতভাবে রছিলেন। গজপতি সস্নেহে বলিলেন,—মনে ভাবিয়া দেখ, যাহা ইচ্ছা হয়, প্রকাশ করিয়া বল। অর্থ, ক্ষমতা, পদবৃদ্ধি, চক্ৰ ব্ৰাও ! তোমাকে কিছুই অদেয় নাই । তখন চক্ৰ aাও ধীরে ধীরে নয়ন উঠাইয়া বলিলেন,—রাজপুত বীর কখনও অঙ্গীকার অন্তথা করেন না, জগতে বিদিত আছে। বীরশ্রেষ্ঠ, আপনার কক্ত লক্ষ্মীদেৰীকে আমার সহিত বিবাহ দিল ।