পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ शशांब्रां हैं औदन-थडांड দিয়া গড়াইয়া যাইত, লক্ষ্মী সে অশ্রুবিন্দু মোচন করিয়া পুনরায় গৃহকার্য্যে প্রবৃত্ত হইতেন । অস্ত চঞ্জরাও আহারে বসিয়াছেন, লক্ষ্মীবাই পাশ্বে দণ্ডায়মান হইয়া ব্যঞ্জন করিতেছেন। লক্ষ্মীবাইয়ের বয়ঃক্রম এক্ষণে সপ্তদশ বর্ষ। অৰয়ব কোমল, উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়, কিন্তু ঈষৎ ক্ষীণ । দ্রুযুগল কি মুন্দর ও মুচিকুণ, যেন সেই পরিষ্কার শাস্ত ললাটে তুলি দ্বীয়া অঙ্কিত । শাস্ত, কোমল, কৃষ্ণ নয়ন দুটিতে যেন চিন্তা আপনার আবাসস্থান করিয়াছে। গণ্ডস্থল মুন্দর, সুচিঙ্কণ, কিন্তু ঈষৎ পাণ্ডুবৰ্ণ ; সমস্ত শরীর শাস্ত ও ক্ষীণ। নৌবনের অপরূপ সৌন্দৰ্য্য বিকশিত রহিয়াছে, কিন্তু যৌবনের প্রফুল্লতা, উন্মত্তত কৈ ? আহ ! রাজস্থানের এই অপূৰ্ব্ব পুষ্পটি মহারাষ্ট্রে সৌন্দর্য ও স্বভ্রাণ বিতরণ করিতেছে, কিন্তু জীবনাভাবে ঈষৎ শুদ্ধ। লক্ষ্মীবাইয়ের চারু নয়ন, সুদীর্ঘ কেশভার, কোমল বাহুদ্বয় ও কোমল দেহলতায় মুক্তার লাবণ্য অাছে, কিন্তু হীরকের উজ্জ্বল কিরণ নাই । একদিন চন্দ্ররাও লক্ষ্মীকে জানাইয়াছিলেন যে, তোমার ভ্রাভা আমার অধীনে হাবিলদার হইয়াছে ও যশোলাভ করিয়াছে। ব থাটি সাঙ্গ হইলে চঞ্জরাওয়ের ললাট মেঘাচ্ছন্ন হইয়াছিল, তাহা দেখিয়া লক্ষ্মীর মনে সন্দেহ হইয়াছিল। আর একদিন স্বামীর দুই একটি মিষ্টবাক্যে প্রোৎসাহিত হইয়া লক্ষ্মী স্বামীর পদযুগলের নিকট বসিয়া বলিলেন,—দাসীর একটি নিবেদন আছে, কিন্তু বলিতে ভয় করে । চন্দ্ররা ও শয়ন করিয়া তাম্বুল চৰ্ব্বণ করিতেছিলেন, নম্রমুখীকে সস্নেহে চুম্বন করিয়া বলিলেন,—কি, বল না, তোমার নিকট আমার অদেয় কি আছে ?