পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত , :): কথা পূৰ্ব্বজীবনের স্বতর ন্তায় জাগরিত হইতেছে। শোকভারে হৃদয় আক্রাস্ত হইলে, আশা ও মুখ; আমাদের নিকট বিদায় লইলে, বন্ধুহীন জনের যে কথা স্মরণ হয়, রঘুনাথ সেই স্বপ্ন দেখিতেছিলেন । স্নেহময়ী মাতার স্নেহসিক্ত মুখখানি মনে জাগরিত হইল, পিতার দীর্ঘ অবয়ব ও প্রশস্ত ললাট মনে হইল, বাল্যকালে সেই দূর স্বৰ্য্যমহলে ক্রীড়া করিতেন, হাস্তধ্বনিতে চারিদিক্‌ প্রতিধ্বনিত করিতেন, সেই কথা স্মরণ হইল । সঙ্গে সঙ্গে বাল্যকালের সহচরী, শাস্ত, ধীর প্রাণের ভগিনী লক্ষ্মীকে মনে পড়িল । আহা ! সে স্নেহময়ী ভগিনীকে কি আর জীবনে দেখিতে পাইবেন ? আজি সে সোণার সংসার কোথায়, সে প্রফুল্ল মুখের জগৎ কোথায়, সে হৃদয়ের সহোদরা কোথায় ? নিদ্রিতের মুদিত নয়ন হইতে এক বিন্দু অশ্রু ভূমিতে গড়াইয়া পড়িল । নিদ্রিত রঘুনাথ সেই স্নেহময়ীর মুখখানি চিস্তা করিতে করিতে নয়ন উল্মীলিত করিলেন । কি দেখিলেন ? বোধ হইল যেন, লর্থী স্বয়ং ভ্রাতার শিরোদেশ অপম অঙ্কে স্থাপন করিয়া বসিয়া রহিয়াছেন, কোমল শীতল হস্ত লাতার উষ্ণ ললাটে স্থাপন করিয়া হৃদয়ের উদ্বেগ দূর করিতেছেন, সহোদর স্নেহপূর্ণনয়নে যেন সহোদরের মুখের দিকে একদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিয়াছেন । আহা ! বোধ হইল ; যেন শোকে বা চিস্তায় লক্ষ্মীর প্রফুল্ল মুখখানি ঈষৎ শুষ্ক হইয়াছে, নয়ন দুইটি সেইরূপ স্থির, প্রশস্ত,স্নিগ্ধ, কিন্তু চিস্তার অfবাসস্থান । রঘুনাথ নয়ন মুদিত করিলেন, আর এক বিন্দু আশ্রবর্ধণ করিলেন, বলিলেন,— ভগবান, অনেক সহ করিয়াছি, কেন বৃথা আশায় হৃদয় ব্যথিত করিতেছ? আমি যেন উন্মত্ত ন হই । যেন কোমল হস্তে রঘুনাথের অশ্রুবিন্দু বিমুক্ত হইল। রঘুনাথ পুনরায় নয়ন উল্মীলিত করিলেন । এ স্বপ্ন নহে, তাহার প্রাণের