পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yêe মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত সহোদরাই তােহর মস্তক অঙ্কে ধারণ করিয়া সেই বৃক্ষমূলে বলিয়। রহিয়াছেন । রঘুনাথের হৃদয় আলোড়িত হইল ; তিনি লক্ষ্মীর হাত দুইটি আপন তপ্ত হৃদয়ে স্থাপন করিয়া সেই স্নেহপূর্ণ মুখের দিকে চাহিলেন। তাহার ৰাক্য ফুৰ্ত্তি হইল না, নয়ন হইতে দরবিগলিত ধারা বছিতে লাগিল ; অবশেষে আর সহ্য করিতে না পারিয়া সেই তরুণ যোদ্ধা উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিয়া উঠিলেন। বলিলেন,—লক্ষ্মী লক্ষ্মী ! তোমাকে কি এ জীবনে আবার দেখিতে পাইলাম ? অন্ত মুখ দুর হউক, অন্ত আশা দূর হউক, লক্ষ্মী ! তোমার হতভাগা ভ্রাতাকে নিকটে স্থান দিও, সে এ জীবনে আর কিছু চাহে না । লক্ষ্মীও শোক সম্বরণ করিতে পারিলেন না, ভ্রাতার হৃদয়ে আপন মুখ লুকাইয় একবার প্রাণ ভরিয়া কঁদিলেন । আহা ! এ ক্ৰন্দনে যে মুখ, জগতে কি রত্ন আছে, স্বর্গে কি সুখ আছে, যাহা অভাগীগণ সে মুখের নিকট তুচ্ছ জ্ঞান না করে ? পরস্পরকে বহুদিন পর পাইয়া পরস্পরে অনেকক্ষণ বাকশূন্ত হইয়া রছিলেন । বহুদিনের কথা রহিয়া রহিয়া হৃদয়ে জাগরিত হইতে লাগিল, মুখের লহরীর সহিত শোকের লহরী মিশ্রিত হইয়া হৃদয়ে উখলিতে লাগিল, থাকিয়া থাকিয়া দরবিগলিত ধারায় উভয়ের হৃদয় তালিয়া যাইতে লাগিল । ভগিনীর ন্যায় এ জগতে আর স্নেহময়ী কে আছে ? ভ্রাতৃস্নেহের স্তায় আর পবিত্র স্নেহ কি আছে ? আমরা লে ভালবাসা বর্ণন করিতে অশক্ত, পাঠক ক্ষমা কর । অনেকক্ষণ পরে দুই জনের হৃদয় শীতল হইল। তখন লক্ষ্মী আপন অঞ্চল দিয়া ভ্রাতার নয়নের জল মোচন করিয়া বলিলেন,—ঈশানার ইচ্ছায় কত অন্ধুগন্ধানের পর আজ তোমাকে দেখিতে পাইলাম ।