পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆ*Հ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত কfহfরও সহায়তা চাহেন না, আরিংজীব নিজের অসাধারণ মানসিক বলে সাম্রাজ্যের শাসনকাৰ্য্য একাকী বহন করিবার মানস করিয়াছিলেন, কাহারও পরামর্শ চাহিতেন না । অনেক ক্ষণ উপবেশন করিয়ছিলেন, এরূপ সময় একজন সৈনিক তসলীম কহিয়া বলিল,—সম্রাটের জয় হউক! জর্হাপনা ! দানেশমন্দ নামক আপনার সভাসদ আপনার সাক্ষাৎ অভিলাষী, দ্বারদেশে দণ্ডায়মান অছেন । সম্রাট দানেশমন্দকে আসিতে আজ্ঞা দিলেন, চিন্তারেখাগুলি ললাট হইতে অপস্থত করিলেন, মুখে মুন্দর হাস্ত ধারণ করিলেন । দানেশমন অfরংজীবের মন্ত্রী ছিলেন না, রাজকাৰ্য্যে পরামর্শ দিতে সাহস করিতেন না। তবে তিনি পারস্ত ও আরবী ভাষায় অসাধারণ পণ্ডিত, সুতরাং সম্রাটু তাহাকে অতিশয় সম্মান করিতেন, কখন কখন কোন কোন কথায় বাক্যচ্ছলে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিতেন । উদারচেতা দীনেশমন্দ প্রায়ই উদার সরল পরামর্শ দিতেন, এমন ক, আরংজীবের জ্যেষ্ঠ দারা যখন বনী হন, দীনেশমন্দ তাহার প্রাণরক্ষার পরামর্শই দিয়াছিলেন । এবংবিধ পরামর্শ কুটিল আরংজীবের মনোগত হইত না, আরংজীব তাহাকে অল্পবুদ্ধি ও অদূরদর্শী বলিয়া মনে করিতেন, তথাপি তাহার বিদ্যা, ঘন ও পদমর্য্যাদার জন্ত সম্যক্ আদর করিতেন। সরলস্বভাব বৃদ্ধ দানেশমন্দ সম্রাটুকে অভিবাদন করিয়া উপবেশন করিলেন । দানেশমন্দ। এ সময়ে জহাপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসা দাসের ধৃষ্টতা, কেন না, এ সময় সম্রাটু রাজকাৰ্য্যের পর বিশ্রাম করেন। তবে যে আলিয়াছি, কেবল আপনি অনুগ্রহ করেন এই নিমিত্ত। পারস্তকবি মুনার লিখিয়াছেন, ‘স্বৰ্য্যের দিকে জগতের সকল প্রাণী সকল সময়ে.