পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Տվ, মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত একজন অশ্বারোহী সম্মুখে আলিয়া শিবাজীর সহিত কথা কহিয়াছিল, অপর দুইজন অস্পষ্টস্বরে পরামর্শ করিতেছিল । কি পরামর্শ ? একজন বলিল,—এ স্বর আমি জানি, আমি দক্ষিণদেশে সায়েস্তা খার অধীনে অনেকদিন যুদ্ধ করিয়াছি, আমি নিশ্চয় বলিতেছি, পথিক গোস্বামী নহে। অপর জল বলিল,--তবে কে ? প্রথম। আমি সন্দেহ করি, এ স্বয়ং শিবজী। দুইজন মমুষ্যের কণ্ঠস্বর ঠিক একরূপ হয় না । দ্বিতীয়। দূর মূর্খ। শিবজী দিল্লীতে বন্দী হইয়াছে । প্রথম । সেইরূপ আমরাও মনে করিয়াছিলাম যে, শিবজী লিংছগড় দুৰ্গে আছে, সহসা একদিন রজনীযোগে গুন ধ্বংস করিয়া গিয়াছিল । দ্বিতীয়। ভাল, মস্তকের বস্ত্ৰ তুলিয়া দেখিলেই সকল সন্দেহ দূর হইবে। সহসা একজন অশ্বারোহী আলিয়া শিবঞ্জীর উষ্ণৗষ দূরে নিক্ষেপ করিলেন, শিবাজী তাহাকে চিনিলেন, তিনি লায়েস্তা খার অধীনস্থ একজন প্রধান লেনানী ! যদি হস্তে কোনরূপ অস্ত্র থাকিত, শিবাজী একাকী তিনজমকে হত করিবার চেষ্টা করিতেন। রিক্তহন্তেও একজনকে মুষ্টি-আধাতে অচেতন করিলেন, এমন সময় আর দুইজন আসি হস্তে নিকটে আলিয়া শিৰঞ্জীকে ধরিয়া ভূতলশায়ী করিল। শিবজী ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করিলেন, আবার বন্দী হইলেন, বিদেশে বন্ধুশুন্য হইয়া আরংজীব কর্তৃক হত হইবেন, এই চিন্তা করিতেছিলেন। শম্ভুঞ্জীর দিকে নয়ন পড়িল, চক্ষু জলে স্বপ্নত হইল। সছল একটি শব্দ হইল, শিবাজী দেখিলেন, একজন অশ্বারোহী