পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৬৮

મશઃફ્રે છૌન-શકાષ્ઠ & a 4. কাতরস্বরে রঘুনাথ বলিলেন,—লক্ষ্মী, তোমা বিন জগৎ তুচ্ছ জ্ঞান হইতেছে. জগতে আর রঘুনাথের কি আছে । গ্রাশের লক্ষ্মী । তোকে কিরূপে বিদায় দিব, তোকে ছাড়িয়া আমি কিরূপে দীৰন ধারণ করিব ?- আৰ্ত্তনাদ করিয়া এঘুনাথ ভূমিতে পতিত হইলেন। অনেক যত্ন করিয়া লক্ষ্মী রঘুনাথকে উঠাইলেন, পুনরায় ১ক্ষের জল ৰুছিয়া দিলেন। অনেক সাস্থনা করিলেন, অনেক বুঝাইলেণ, বলিলেন, —ভাই, তুমি বীরশ্ৰেষ্ঠ, পুরুষের যাহা ধৰ্ম্ম, তাছা তুমি পালন করিতেছ, তোমার লক্ষ্মীকে নারীর ধৰ্ম্ম পালন করিতে দাও। আর বিলম্ব করিও মা, ৰাধা দিও না । ঐ দেখ, পূৰ্ব্বদিকে আৰাশ ক্রবণ হইয়াছে, তোমার লক্ষ্মীকে বিদ{য় দাও । গদগদশ্বরে রঘুনাথ বলিলেন,— গী, প্রাণের লক্ষ্মী, এ জগতে তোমাকে বিদায় দিলাম, ঐ আকাশে, ঐ পুণ্যধামে আর একবার তোমাকে পাইব ; সে পৰ্য্যস্থ জীবন্মত হইয়া রহিলাম । ভ্রাতার চরণগুলি লইয়া লক্ষ্মী চিতা পাশ্বে যাইলেশ, স্বামীর পদদ্বয়ে মস্তক স্বপন করিয়া বলিলেন,-হৃদয়েশ্বর । জীবনে ভূমি দাসীকে ধড় ভালবাসিতে, এখন অনুগ্রত কর, যেন তোমার পদপ্রাস্তে বসিয়া তোমার সঙ্গে যাইতে পারি। ভস্ম জন্ম ধেণ তোমাকে স্বামী পাই, জন্ম জন্ম যেন লক্ষ্মী তোমার পদসেবা করিতে পায় । ধীরে ধীরে লক্ষ্মী চিতা আরোহণ করিলেন ; স্বামীর পদ প্রাস্তে ৰসিলেন, পদদ্বন্ধ ভক্তিভাবে জন্ধের উপর উঠাইয়া লইলেন । লম্বন মুদিত করিলেন ; বোধ হইল যেন, সেই মূহুর্তেই লক্ষ্মীর আত্মা স্বর্গে প্রৱেশ করিল। > *