পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত え。 দিকে চাছিয়া বলিলেন,—ভগৰন্‌ ! এ কি আমার জাশ। পূর্ণ হুইবার পূৰ্ব্বলক্ষণ দান করিলেন ? মালাটি হৃদয়ে ধারণ করিয়া রঘুনাথ নিদ্রা গেলেন। পরদিন প্রাতে রঘুনাথের নিদ্রাভঙ্গ হইল । জনাৰ্দ্দনদেবের নিকট ভবানীর আজ্ঞ। জানিলেন,—“মেচ্ছদিগের সহিত যুদ্ধে জয়, স্বধৰ্ম্মীদিগের সহিত যুদ্ধে পরাজয় ।” দুর্গত্যাগের পূৰ্ব্বে রঘুনাথ একবার সরযুর সহিত দেখা করিলেন । সরযু যখন পুনরায় উদ্যালে ফুল তুলিতে আলিয়াছেন, ধীরে ধীরে রঘুনাথও তথায় যাইলেন। হৃদয়ের উদ্বেগ কথঞ্চিৎ দমন করিয়া ঈষৎ কম্পিতস্বরে রঘুনাথ বলিলেন,-ভদ্রে । কলা নিশিযোগে এই কণ্ঠমালাটি এই স্থানে পাইয়াছি, সেইটি দিতে আলিয়াছি, অপরিচিতের ধৃষ্টতা মার্জন করুন। এই বিনীতবাক্য শুনিয়া সরযু ফিরিয়া চাহিলেন, দেখিলেন, সেই কমনীয় উদার মুখমণ্ডল, সেই কেশাবৃত উন্নত ললাট, সেই উজ্জ্বল নয়নদ্বয়, সেই তরুণ যোদ্ধা ! রমণীর গৌর মুখমণ্ডল পুনরায় রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল । রঘুনাথ পুনরায় বীরে ধীরে বলিলেন,—যদি অনুমতি করেন, তবে এই মুন্দর মালাটি উহার অভ্যস্ত স্থানে পরাইয়া দি । এই অনুগ্রহটি আমাকে প্রদান করুন, ভগবান আপনাকে স্থখে রাখিবেন। সরযূ সলজ্জনয়নে একবার রঘুনাথের দিকে চাছিলেন, লে বিশাল আয়ত নয়নের ক্ষণদৃষ্টিতে রঘুনাথের হৃদয় কম্পিত হইল। তৎক্ষণাৎ রঞ্জিতমূখী লজ্জায় আবার চক্ষু মুদিত করিলেন। সম্মতি লক্ষণ পাইয়া রঘুনাথ ধীরে ধীরে সেই কণ্ঠমালা পরাইয়া দিলেন, কন্যার পবিত্র শরীর স্পর্শ করিলেন না।