পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ՀԱ চেষ্টা করিয়া কিরূপে তাহাদিগকে বহিষ্কৃত করিয়া দুর্গঞ্জয় করিয়াছে, তাহা জহাপনার স্মরণ আছে। একটি দুর্গ হস্তগত করিতে অনেক মোগলের প্রাণনাশ হইয়াছে। অfবার এ বৎসর সর্বস্থানে আমাদের সৈন্ত থাকাতেও নিতাইজী আসমান দিয়৷ আহম্মদনগর ও আরাঙ্গাবাদ পৰ্য্যস্ত উড়িয়া যাইয়া দেশ ছারখার করিয়া আসিয়াছে । লায়েস্তা খা । চাদ খাঁর বয়স অধিক হইয়াছে, তিনি এক্ষণে পৰ্ব্বত-ইন্দুরকে ভয় করেন । পূর্বে র্তাহার এরূপ ভয় ছিল না। চাদ খায় মুখমণ্ডল আরক্ত হইল, কিন্তু তিনি নিরুত্তর রছিলেন। আনওরী। জহাপনা ঠিক আজ্ঞা করিয়াছেন, মহারাষ্ট্ৰীয়েরা ইদুরবিশেষ, তাহারা যে পৰ্ব্বত-ইন্দুরের ন্তায় গৰ্ত্তে প্রবেশ করিয়া থাকিতে পারে, তাছা আমি অস্বীকার করি না। চাদ খা । পৰ্ব্বত-ইন্দুর পুনার ভিতর গৰ্ত্ত করিরা বাহির না হইলে রক্ষা ! লায়েস্তা থা। এখানে দিল্লীর সশস্ত্ৰ সহস্ৰ নখায়ুধ বিড়াগ আছে, ইদুরে সহগ কিছু করিতে পরিবে না। সভাসদ সকলেই "কেরামত কেরামত বলিয়া সেনাপতির এই বাক্যের অমুমোদন করিলেন । মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের বিষয়ে এইরূপ অনেক রহস্ত হইলে পর কি প্রণালীতে যুদ্ধ হইবে, তাহাই স্থির হইতে লাগিল। চাকন-দুর্গ হস্তগত হওয়া অবধি লায়েস্তা খাঁ দুর্গ হস্তগত করা একেবারে দুঃসাধ্য বিবেচনা করিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন,—এই প্রদেশ দুর্গপরিপূর্ণ, যদি একে একে সমস্ত দুর্গ হস্তগত করিতে হয়, তবে কত দিনে যে দিল্লীশ্বরের কার্ধ্য সিদ্ধ হইবে, কখনও সিদ্ধ হইবে কি না, তাহার স্থিরতা माहे ।