পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৩৭

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত চাদ খা। জস্থাপনা ! দুৰ্গই মহারাষ্ট্রীয়দিগের বল, উহারা সম্মুখ-রণ করিবে না, অধৰা রণে পরাভ হইলেও উহাদিগের ক্ষতি নাই। কেন না, দেশ পৰ্ব্বতময়, উহাদিগের সেনা এক স্থান হইতে পলায়ন করিয়া কোন দিক দিয়া অন্ত স্থানে উপস্থিত হইবে, আমরা তাহার উদ্দেশ পাইব না। কিন্তু দুর্গগুলি একে একে হস্তগত করিতে পারিলে মহারাষ্ট্রীয়দিগকে অৰশুই দিল্লীর অধীনতা স্বীকার করিতে হইবে। সায়েস্ত থা। কেন ? মহারাষ্ট্ৰীয়ের যুদ্ধে পর্যন্ত হইয়া পলায়ন করিলে কি আমরা পশ্চাদ্ধাবন করিতে পারিব না ? আমাদের কি অশ্বারোহী সেনা নাই, পশ্চাদ্ধাবন করিয়া সমস্ত মহারাষ্ট্রসেনা ধ্বংস করিতে পরিবে না ? চাদ । যুদ্ধ হইলে অবশুই মোগলদের জয়, ধরিতে পারিলে মহারাষ্ট্রীয় সেনা বিনাশ করিব, তাহার সংশয় নাই ; কিন্তু এই পৰ্ব্বত-প্রদেশে মহারাষ্ট্রীয় অশ্বারোহীকে পশ্চাদ্ধাবন করিয়া ধরিতে পারে, এমন অশ্বারোহী হিন্দুস্থানে নাই। আমাদের অশ্বগুলি বৃহৎ, অশ্বারোহী বৰ্ম্মাবৃত ও বহু অস্ত্রসমন্বিত, সমভূমিতে, সম্মুখক্ষেত্রে তাহাদের তেজ ছুদিম নীয়, তাহীদের গতি অপ্রতিহত, কিন্তু এই পৰ্ব্বতপ্রদেশে তাহাদিগের যাতায়াতের ব্যাঘাত জন্মে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মহারাষ্ট্রীয় অশ্ব ও অশ্বারোহিগণ যেন ছাগের ন্তায় তুঙ্গগৃঙ্গে লম্ফ দিয়া উঠে ও হরিণের স্তায় উপত্যকা ও মুরাখের মধ্য দিয়া পলায়ন করে । জহাপনা, আমার পরামর্শ গ্রহণ করুন। সিংহগড়ে শিবজী আছেন, সছল৷ সেই স্থান অবরোধ করুন, এক মাস কি দুই মাল কালের মধ্যে দুর্গ জয় করিব, শিৰঞ্জী বন্দী হইবে, দিল্লীশ্বরের জন্ম হইবে। নচেৎ এ স্থানে: মহারাষ্ট্রীষ্মদিগের জন্ত অপেক্ষা করিলে কি হইৰে ? তাছাদিগের পশ্চাদ্ধাবনের চেষ্টা