পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 о মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত দীপাবাঈয়ের গর্ভে একটি সস্তান হওয়াতে মল্লজী সেই পীরের নামান্থসারে পুত্রের নাম শাহজী রাখিলেন। সে সময়ে যাদবরাও নামক আiহম্মদনগরে প্রসিদ্ধনাম এক জন লেনাপতি ছিলেন ; তিনি দশ সহস্ৰ অশ্বারোহীর নেতা এবং প্রশস্ত জায়গীর ভোগ করিতেন । ১৫৯৯ খৃ: অব্দে হুলির দিনে মল্লজী আপন সন্তান শাহজীকে লইয়া যাদবরাওয়ের বাড়ী গিয়াছিলেন । শাহজার বয়স তখন পাঁচ বৎসর মাত্র, যাদবরাওয়ের কন্যা জীজীর বয়স তিন কি চারি বৎসর, সুতরাং বালক-বালিক। বড় আনন্দে একত্রে ক্রীড়া করিতে লাগিল। তদর্শনে যাদবরাও সস্তুষ্ট হইয়া অাপন কস্তাকে ডাকিয়া বলিলেম,—“কেমন, তুই এই বালকটিকে বিবাহ করিবি ?” পরে অন্তান্ত লোকদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,—*দুই জনে কি সুন্দর যোড় মিলিয়াছে।" এই সময়েই শাহজী ও জীজী পরম্পরের দিকে ফাগ নিক্ষেপ করায় সকলেই হস্ত করিয়া উঠিল ; কিন্তু মল্লঙ্গী সহসা দণ্ডায়মান হইয়া বলিলেন,—“বন্ধুগণ সাক্ষ থাকিও, যাদবরাও আমার বৈবাহিক হইবেন, অদ্য প্রতিশ্রুত হইলেন।” সকলে এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করিলেন । যাদবরাও উচ্চবংশজ, শাহজীর সহিত আপনার কস্তার বিবাহ দিতে কখনই বাসন করেন নাই, কিন্তু মল্পজীর এই চতুরত দেখিয়া বিস্মিত হইয়া রছিলেন । পরদিন যাদবরাও মল্লজীকে নিমন্ত্রণ করিলেন, কিন্তু বৈবাহিক ৰলিয়া স্বীকার না করিলে মল্লজী যাইবেন না বলিয়া পাঠাইলেন । যাদবরাও সেরূপ স্বীকার করিলেন না, সুতরাং মল্পজী আসিলেন না। যাদবরাওয়ের গৃহিণী যাদবরাও হইতেও বংশমর্ষ্যাদায় অধিক অভিমানিনী । কথিত আছে যে, যাদবরাও রহস্ত করিয়া আপন চুহিতার সহিত শাহজীর বিৰাহ দিবেন বলিয়াছিলেন বলিয়া তাহার গৃহিণী তাহাকে বিলক্ষণ দুই