পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԿՀ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত সেই নগরীতে কি বিযম ঘটনা সংঘটিত হইবে, তাহাই চিস্ত করিতেছিলেন। দক্ষিণ ও পশ্চিমদিকে পৰ্ব্বতের পর পর্বত, যতদূর দেখা যায়, অনন্ত পৰ্ব্বত অস্তfচলচুড়াবলম্বী স্বৰ্য্যকিরণে অপূৰ্ব্ব শোভা পাইতেছে। কিন্তু বোধ করি, যোদ্ধগণ এই চমৎকার পর্বতদৃশ্বের বিষয় ভাধিতেছিলেন না, অন্য চিস্তায় অভিভূত রহিয়াছেন। যে বুদ্ধে বা যে অসমসাহসিক কার্য্যে একেবারে বহুকালের বাঞ্ছিত ফললাভ হইতে পারে, বা এককালে সৰ্ব্বনাশ হইতে পারে, তাহার প্রাক্কালে মুহূর্বের জন্য অতিশয় লাহসিক হৃদয়ও চিন্তাপূর্ণ হয় । অদ্য সায়েস্তা র্গ ও মোগল সৈন্য ছিন্নভিন্ন ও পরাভূত হইৰে, অথবা অসমসাহসে মহারাষ্ট্রস্বর্য একেবারে চির অন্ধকারে আস্ত যাইবে, এইরূপ চিন্তা অগত্য যোদ্ধদিগের হৃদয়ে উদ্রেক হইতে লাগিল । কেহ এ চিস্তা ব্যক্ত করিলেন না, তথাপি যখন নি:শব্দে যোদ্ধ যোদ্ধার দিকে নিরীক্ষণ করিলেন, তখন কাহারও মনোগত ভাব লুক্কায়িত রহিল না । কেবল বিংশ বা পঞ্চবিংশ মাত্র সেনা লইয়া শিবাজী শক্রসেনার মধ্যে যাইয়া আক্রমণ করিবেন. এরূপ ভীষণ কার্ম্যে শিবাজী কখনও লিপ্ত হইয়াছেন কি না সন্দেহ। কেনই বা যোদ্ধৃদিগের ললাট মুহূর্বের জন্য চিন্তামেঘাচ্ছন্ন ন হইবে ? সেই বীরমওপীর মধ্যে বহুদশা পেশোয় মুরেশ্বর ত্রিমূল ছিলেন। অল্পবয়সে তিনি শিখঞ্জীর পিতা শাহজীর অধীনে যুদ্ধব্যবসায়ে লিপ্ত ছিলেন, পরে শিবাজীর অধীনে আসিয়া প্রতাপগড়ের চমৎকার দুর্গ তিনিই নিৰ্ম্মাণ করেন। চারি বৎসরাবধি পেশোয়াপদ প্রাপ্ত হইয়া তিনি সেই পদের যোগ্যতা বিশেষরূপে প্রদর্শন করিয়াছিলেন । আবুল ফাজেলকে শিবঙ্গী হত্যা করিলে পর মুরেশ্বরই তাহার সেনাকে আক্রমণ করিয়া পরাস্ত করিয়াছিলেন, পরে মোগলদিগের সহিত যুদ্ধারম্ভ