পাতা:মহারাষ্ট্র-নৃপেন্দ্রকুমার বসু.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ళ) শিবাজীর বৃদ্ধি-শাসন-প্রণালী ও শেষীঘল মারাঠা সৈন্থের উৎপীড়নের আমলে কখনও আসিত না। যুদ্ধক্ষেত্রে কোন সৈন্তাধ্যক্ষ দামী বাণিক হিসাবে কোন স্ত্রীলোককে লীয় গেলে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হইত। বিজালীয়ের ধৰ্ম্মমন্দির, কবরখানা বা আশ্রমের কোন ক্ষতি সাধন করিলে সৈনিকগঞ্জ দও পাইত। লুন্ঠনকালে কোরাণ বা শরিয়ং দেখিতে পাইলে, শিবাজী তাহ তৎক্ষণাৎ উঠাইয়া লইয়া কপালে ঠেকাইতেন ও সশ্রদ্ধায় সেখানি কোন মুসলমান কৰ্ম্মচারীকে দাণ করিতেন। মুসলমান কৰ্ম্মচারীর জুম্মার নমাজ পড়িবার জন্তু শুক্রবার ছুটি পাইত। তিনি হিন্দু সয়্যালী, মুসলমান ফকীরকে সমান শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন এবং মন্দির মসজিদ উভয়ের জন্তুই লিঙ্কর জমি দ্বান করিতেন। ঔরঙ্গজেবের যুক্তি স্থিবিধে মলিকুলে ও জিঞ্জিয় করের পাশ্বে শিবাজীর এই পরমতসহিষ্ণুতা శ్రీ মহামুভবতা—একটা মনোরম অসামঞ্জস্ব বটে। পুন-গন্নিকটস্থ রায়গঞ্জে শিবাঙ্গীর রাজধানী। দরবারের আটজন প্রধান অমাতা একদিকে শিবাজীর পরামর্শদাতা, অম্বুদিকে রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগের পুরিচালক। রাজা ধিক্রমাদিত্যের নবরত্বের ন্যায় শিবাজীর এই ‘অষ্টপ্রধানগণ ইতিহাসপ্রসিদ্ধ। ইহাদের সহিত সামান্ত পরিচয় থাকা উচিত । পেশওয়া (মুখ্যপ্রধান ) ছিলেন রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী। মোরেশ্বর ত্ৰিমল পিঙ্গলে এই পরে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পেশওয়া যুদ্ধে গেলে, র্তাহার সহকারী বিভাগ-পরিচালন করিঙ্গে । ই হার পদের নাম ছিল কারবার দেওয়ান ।