পাতা:মহিলাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন । জগদীশ্বরের কুপায় মুনাধিক বিংশতি বৎসর পর্যন্ত অম্মদেশে হিন্দুমহিলাগণের শিক্ষ-প্রথা ক্রমশঃ প্রবর্তিত হইতেছে। এবিষয়ে লোকের পূৰ্ব্বে যে সমস্ত বদ্ধমূল কুসংস্কার ছিল, ক্রমশঃ তাহার উচ্ছেদ হইতেছে। এক্ষণে পূৰ্ব্বের দ্যায় সাধারণের আর স্ত্রীশিক্ষা অহিতকর বোধ হয় না ; ইহার আবশ্যকতা অনেকেরই হৃদয়ঙ্গম হইতেছে : কিন্তু অদাপি এবিষয়ের সুপ্রণালী প্রবর্তিত হয় নাই। স্ত্রী শু পুরুষ উভয়েরই অবস্থার ভিন্নতা বিবেচনা করিয়৷ তদুপযোগিনী শিক্ষা-প্রণালী ধার্যা করা বিধেয়। পুরুষকে স্ত্রী লোকের দ্যায় শিক্ষা-প্রদান যদ্রুপ অযোগ্য ও বিফল, স্ত্রীলোককেও পুরুষের স্যায় উপদেশ দানে তদ্রুপ ফল দৃষ্ট হয়। পুরুথকে নানা প্রকার বৈষয়িক কার্য্যে ব্যাপৃত হইতে হয় বলিয়া সকল প্রকার বিদ্যার আলোচনা তাহার পক্ষে কর্তব্য। কিন্তু স্ত্রীলোকদিগকে বিষয়-কৰ্ম্মে ব্যাপৃত হইতে হয় না ; গৃহ-কৰ্ম্ম সুকৌশলে নিৰ্ব্বাহ, স্বামী ও সন্তান সন্ততি প্রতিপালন, পিতামাত ও ভ্রাত্ত ভগিনী, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবাসীর প্রতি ভক্তি ও স্নেহ করাই তাহদের প্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম। কি প্রকারে সুচারু রূপে সংসার যাত্র নির্বাহ হয়, কি প্রকারে স্বজনগণের ক্লেশ-বিমোচন ও সুখ-বৰ্দ্ধন হয়, নিরন্তর তাহার সদুপায় উদ্ভাবন করাই তাহদের ধৰ্ম্ম । সে কার্য্য নিৰ্ব্বাহীর্থ