পাতা:মহিলাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুেরেন্স নাইটেনগেল \: অব্দের জামৃয়ারি মাসে ৫০ জন পরিচারিকা সহিত তথায় উপস্থিত ন হইলে তিনি তথাকার অধ্যক্ষত ভার গ্রহণে সমর্থ হ ইতেন না। এই সদ্বিষয়ে তাহার অলৌকিক পরিশ্রম দ্বার সাধারণ জনগণ কর্তৃক সঙ্গতিশয় প্রশংসিত হওয়াতে র্তাহীর বিপক্ষ রাজপুরুষগণ ভীত হইয় তাহাদিগের অসঙ্গত ও অকৰ্ম্মণা নিয়ম যtহ এতাবৎকাল পর্যান্ত রোগীদিগের ক্লেশ নিবারণে প্রতিবন্ধক স্বরূপ ছিল, তাহার কিয়দংশ পরিবর্তন করিল। কিন্তু পীড়ার এত দৃশ প্রাদুর্তাব হইয়া উঠিল, যে চিকিৎসকের মধ্যে কেবল এক জন সুস্থ ছিলেন, এবং তিনিই উক্ত চিকিৎসালয়ে একুশটা ঘরে যে সমস্ত রোগী ছিল, তাহাদিগকে যৎসামান্য চিকিৎস। করিতে প্রবৃত্ত ছিলেন। কিন্তু কি সাংঘাতিক পীড়ু, কি মৃত্যু, কিছুতেই নাইটেনগেলকে শঙ্কিত করিতে পারিল ন। যে স্থানে মৃতুর ভয়ঙ্কর হস্ত দৃষ্ট হ'ষ্টত, সেই স্থানেই এই অদ্বিতীয়া স্ত্রী উপস্থিত থাকিয় রোগীদিগকে মৃত্যু যন্ত্রণক লীন ও সান্তন করিতেন । রজনীজোগে যৎকালীন পৃথিবী নিঃশব্দ ও অন্ধকারাবৃত এবং চিকিৎসকগণ নিদ্রিত থাকিতেন, তিনি একটা প্রদীপ হস্তে ধারণ করত একাকী রোগীদিগের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত থাকিতেন । দিনমানে পীড়র যন্ত্রণ সীমান্য, কিন্তু রাত্রিকালে তাহ ভয়ানক হইয় উঠে, তৎকালে পশু পক্ষী কীট পতঙ্গগণ, নীরব, কিন্তু পীড়িত যোদ্ধগণের ক্লেশ অসীম এবং তাহাদিগের অ"র্ন্তনাদ শ্রবণে পাষাণ-হৃদয় ব্যক্তিরও অন্তঃকরণ বিদীর্ণ হয় । তাহাদিগের মধ্যে কেহ বা স্বপ্ন বস্থায় দুর্গস্থ পরিখ}