পাতা:মহিষাসুরমর্দ্দিনী (১৯৬২).mp3/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
[০০:৩৭:২৯ (পুরুষ কণ্ঠে স্তোত্রপাঠ)]

দেবী নিত্যা তথাপি দেবগণের কার্যসিদ্ধিহেতু সর্বদেবশরীরজ তেজঃপুঞ্জ থেকে তখন প্রকাশিত হয়েছেন বলে তাঁর এই অভিনব প্রকাশ বা আবির্ভাবই মহিষমর্দিনীর উৎপত্তিরূপে খ্যাত হল। শুচিস্মিতা ইন্দ্রাণী ও দেবদেবীর বরণগানে দেবী প্রসন্না হলেন। মন্দ্রিত হল দেবীর বিজয়শঙ্খধ্বনি। দেবী জনে জনে ঘোষণা করলেন, নিয়ে এসেছি।

দেবী সজ্জিতা হলেন অপরূপ রণচণ্ডী মূর্তিতে। হিমাচল দিলেন সিংহবাহন, বিষ্ণু দিলেন চক্র, পিনাকপাণি শঙ্কর দিলেন শূল, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, ঐরাবত কণ্ঠলগ্ন জয়ঘণ্টা, বরুণ দিলেন পাশ, অগ্নি দিলেন শক্তি, যম তাঁর দণ্ড, কালদেব সুতীক্ষ্ণ খড়্গ, চন্দ্র অষ্টচন্দ্র শোভা চর্ম দিলেন, ধনুর্বাণ দিলেন সূর্য, বিশ্বকর্মা অভেদ্য বর্ম, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা-কমণ্ডলু, কুবের রত্নহার। সকল দেবতা দেবীকে নানা অলঙ্কারে অলঙ্কৃত ও বিবিধপ্রহরণে সুসজ্জিত করে অসুরবিজয় যাত্রায় যেতে প্রার্থনা করলেন। রণদুন্দুভিতে বিশ্বচরাচর নিনাদিত হতে লাগল। যাত্রার পূর্বে সুর-নরলোকবাসী জননী দশপ্রহরণধারিণী দশভুজা মহাশক্তিকে ধ্যানমন্ত্রে করলেন অভিবন্দনা।