এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বাপী
একদা বিজনে যুগল তরুর মূলে
তৃষ্ণার জল তুমি দিয়েছিলে তুলে।
আর কোনোখানে ছায়া নাহি দেখি,
শুধালেম, কাছে বসিতে দিবে কি?
সেদিন তোমার ঘরে ফিরিবার বেলা
ব’হে গেল বুঝি, কাজে হ’য়ে গেল হেলা॥
অদূরে হোথায় ভাঙা দেউলের ধারে
পূর্ব্বযুগের পূজাহীন দেবতারে
প্রভাত অরুণ প্রতিদিন খোঁজে,
শূন্য বেদীর অর্থ না বোঝে,
দিন শেষ হ’লে সন্ধ্যাতারার আলো
যে-পূজারী নাই তা’রে বলে “দীপ জ্বালো”॥
একদিন বুঝি দূরে কোন্ রাজধানী
রচনা ক’রেছে দীর্ঘ এ পথখানি।
আজি তা’র নাম নাই ইতিহাসে,
জীর্ণ হ’য়েছে বালুকার গ্রাসে,
প্রান্তর-শেষে শীর্ণ বনের কোলে
জনপদবধূ জল নিয়ে যায় চ’লে॥
৮৫