পাতা:মহুয়া-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

প্রচ্ছন্না

বিদেশে ঐ সৌধশিখর ’পরে
ক্ষণকালের তরে
পথ হ’তে-যে দেখেছিলেম, ওগো আধেক দেখা,
মনে হ’লো তুমি অসীম একা।
দাঁড়িয়েছিলে যেন আমার একটি বিজন খনে
আর কিছু নাই সেথায় ত্রিভুবনে।
সামনে তোমার মুক্ত আকাশ, অরণ্যতল নীচে,
ক্ষণে ক্ষণে ঝাউএর শাখা প্রলাপ মর্ম্মরিছে।
মুখ দেখা না যায়,
পিঠের ’পরে বেণীটি লুটায়।
থামের পাশে হেলান-দেওয়া ঈষৎ দেখি আধখানি ঐ দেহ,
অসম্পূর্ণ কয়টি রেখায় কী যেন সন্দেহ।
বন্দিনী কি ভোগের কারাগারে,
ভাবনা তোমার উড়ে চলে দূর দিগন্তপারে?
সোনার বরণ শস্যক্ষেতে, কোন্-সে নদীতীরে
পূজারীদের চলার পথে, উচ্চ চূড়া দেবতামন্দিরে
তোমার চিরপরিচিত প্রভাত আলোখানি,
তারি স্মৃতি চক্ষে তোমার জল কি দিল আনি’?

১২৬