পাঠ পরিচয়
“মহুয়া”র অধিকাংশ কবিতা ১৩৩৫ সালের শ্রাবণ হইতে পৌষ মাসের মধ্যে লেখা। সেই সময়ে কথা হয়-যে রবীন্দ্রনাথের কাব্য- গ্রন্থাবলী হইতে প্রেমের কবিতাগুলি সংগ্রহ করিয়া বিবাহ উপলক্ষ্যে উপহার দেওয়া যায় এইরূপ একখানি বই বাহির করা হইবে, এবং কবি এই বইয়ের উপযোগী কয়েকটি নূতন কবিতা লিখিয়া দিবেন। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে কয়েকটির জায়গায় অনেকগুলি নূতন কবিতা লেখা হইয়া গেল; সেই সব কবিতাই এখন “মহুয়া” নামে বাহির হইতেছে।
ইহার কিছু পূর্ব্বে, ১৩৩৫ সালের আষাঢ় মাসে, “শেষের কবিতা” নামে উপন্যাসের জন্য কয়েকটি কবিতা লেখা হয়। ভাবের মিল হিসাবে সেই কবিতাগুলিও এই সঙ্গে ছাপা হইল।[১]
“পূরবী” (শ্রাবণ, ১৩৩২) বাহির হওয়ার পরে এই ৪ বৎসরে আরও অনেক কবিতা লেখা হইয়াছে, কিন্তু সে সব কবিতা “মহুয়া”য় স্থান পায় নাই। তাহার কারণ কবি নিজে সম্প্রতি একখানি চিঠিতে লিখিয়াছেন:—
“লেখার বিষষটা ছিল সংকল্প করা—প্রধানতঃ প্রজাপতির উদ্দেশে—আর তারই দালালী করেন যে-দেবতা তাঁকেও মনে রাখ্তে হ’য়েছিলো। অতএব “মহুয়া’র কবিতাকে ঠিক আমার হালের কবিতা ব’লে শ্রেণীবদ্ধ করা চলে না। ভেবে দেখ্তে গেলে এটা কোনো কাল-বিশেষের নয়, এটা আকস্মিক। আমার সত্যিকার আধুনিক
- ↑ “শেষের কবিতা”র জন্য লেখা কবিতাগুলিকে সুচিপত্রে তারকা (*) চিহ্নিত করা হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে ২টি কবিতা “বিচ্ছেদ” (১৫৪ পৃঃ) আর “বিরহ” (১৬৫ পৃঃ) “শেষের কবিতা”র জন্য লেখা হইলেও ঐ উপস্যাসে ব্যবহার করা হয় নাই।