পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिक्षांदहां-कविड निद्धि अठांण ! *多 শিক্ষা প্ৰণালীর এই পার্থক্য ছিল যে, ডিরোজিয়ো ছাত্রদিগের বিচারশক্তির উন্নতি-সাধনেরই অধিক চেষ্টা করিতেন ; আর রিচার্ডসন ছাত্ৰদিগের ভাবগ্রাহিতার ও রসজ্ঞতার পরিবর্ধনের জন্যই অধিক প্ৰয়াস পাইতেন । ডিরোজিয়ো, ছাত্ৰাদিগকে ধৰ্ম্ম, সমাজ এবং রাজনীতি প্ৰভৃতি বিষয়ের দোষ, গুণ আলোচনা করিয়া, নিজের নিজের গন্তব্যপথ নির্ণয় করিতে বলিতেন । আর রিচার্ডসন, তাহাদিগের ভাবগ্রাহিতার উদ্দীপন করিয়া, তাহাদিগের সমক্ষে বাহ্যজগতের ও অন্তর্জগতের গুঢ় সৌন্দৰ্য্য প্ৰকটিত করিতেন । ডিরোজিয়ো ও বিচার্ডসন, উভয়েই কবি, উভয়েই চিন্তাশীল । কিন্তু ডিরোজিয়োর কবিত্বের সঙ্গে দার্শনিক বিচারশক্তি প্ৰবল ; রিচার্ডসনে কেবলই অমিশ্ৰ ভাবপ্রবণতা । প্ৰথম কাৰ্য্যক্ষেত্রের সহায়, দ্বিতীয় কল্পনাজগতের পথ-প্ৰদৰ্শক । ডিরোজিয়ো ছাত্ৰাদিগকে, যে উপদেশ দিতেন, তাহার নিষ্কৰ্য এইরূপ ; “দেখ, যে সমাজে আমাদিগের বাস, তাহাতে এই সকল কুসংস্কার ; যাহা আমরা ধৰ্ম্ম বলিয়া সম্মান করি, তাহাতে এই সকল ভ্ৰম ; এবং যে শাসন-নীতি অনুসারে আমরা পরিাচালিত হইতেছি, তাহাতে এই সকল অত্যাচার বর্তমান রহিয়াছে । আজ বলিয়া নয়, সৃষ্টিকালাবধি এইরূপ ভ্ৰম, প্ৰমাদ চলিয়া আসিতেছে, কিন্তু চলিয়া আসিতেছে বলিয়া যে, তাহাদিগের সংশোধনের আবশ্যকতা নাই, তাহা নয় । হিতাহিত বিবেচনা করিয়া, এবং নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করিয়া, এই সকল ভ্ৰম, কুসংস্কার এবং অত্যাচার নিবারণের চেষ্টাতেই প্ৰকৃত মনুষ্যত্ব।” রিচার্ডসনের সহিত ধৰ্ম্মনীতির অথবা সমাজনীতির বড় সম্বন্ধ ছিল না । তিনি ছাত্ৰাদিগকে সুলেখক ও সুপণ্ডিত করিতে পারিলেই আপনার কৰ্ত্তব্য শেষ হইল মনে করিতেন । তিনি বলিতেন, “দেখ, এই বাহাজগৎ কেমন সুন্দর, কেমন বৈচিত্ৰ্যপুর্ণ। এই নক্ষত্ৰমণ্ডিত আকাশ, এই তরঙ্গায়িত মহাসমুদ্র, এই সৌন্দৰ্য্যময় প্ৰদোষ, এবং এই জোৎস্না-ধৌত রজনী কি অপুৰ্ব্ব শোভায় সুশোভিত। পতির