পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষাবস্থা-কবিতা রচনার অভ্যাস । SO) স্নাঘা অতি নিন্দনীয়। স্নাঘা দ্বারা সর্বসাধারণ মনুষ্য অহঙ্কারযুক্তর ন্যায় প্রকাশ পায়। তাহাতে সৰ্ব্বলোক তুচ্ছতা করে এবং কেহ তাহাকে আদর করে না। আর BBBB KHB DD BDD TuBB DDSS SDBDBD DDBDD DDD D SDDD DBBDBB নয়ন দ্বারা স্বীয় নয়নের গুণ দোষ দেখিতে পায় না, তাহার ন্যায় জানিবা । আর আত্মপ্রশংসা হেতু পরের গুণী-জ্ঞান-কারণে সমর্থ হয় না। সেই ব্যক্তির শাস্ত্ৰাদি জ্ঞান কি প্রকারে হইতে পারে ? অতএব লাঘা বিদ্যার প্রধান প্রতিবন্ধিক হয় ; তাহতে পরম জ্ঞান, পরম হুখের কথা কি কহিব, সামান্য সুখও হইতে পারে না। যেমন উষ্ণ অঙ্গার কাষ্ঠদিকে দগ্ধ করণে সমর্থ হয় না, কেবল স্বয়ং উত্তপ্ত অন্যকেও উত্তপ্ত মাত্র করেন, তাহার ন্যায় আত্মশ্লাঘাকারী বাক্তি আপনি উত্তাপযুক্ত হয়েন এবং অন্যকেও উত্তাপিত করেন, এতদ্রুপ অন্যান্য দোষ छोनिता” । একদিকে বাঙ্গালা ভাষার এইরূপ অবস্থা, অপর দিকে দেশের রাজপ্ৰতিনিধি হইতে সাধারণ লোক পৰ্যন্ত সকলেই ইংরাজী ভাষার অনুশীলনে উৎসাহদান করিতেছিলেন। সুতরাং এ অবস্থায় যে সে সময়কার ছাত্ৰমণ্ডলীর হৃদয়ে, স্বদেশীয় ভাষার প্রতি উপেক্ষা জন্মিয়া, ইংরাজী ভাষারই প্ৰতি অধিক অনুরাগ জন্মিবে, তাহা অসম্ভব নয়। মধুসূদনের সহাধ্যায়ী ও সমকালবৰ্ত্তী ছাত্রদিগের অধিকাংশই, এই বাল্য-সংস্কারের বশবানীী হইয়া, আজীবন, ইংরাজী সাহিত্যের অনুশীলন করিয়া গিয়াছেন। সে সময়কার হিন্দু কলেজের ছাত্রদিগের মধ্যে মধুসুদন, বাবু রাজনারায়ণ বসু এবং বাবু, ভূদেব মুখোপাধ্যায়, এই তিন জনষ্ট, কেবল, পূৰ্ণবয়সে, বাঙ্গালা সাহিত্যের অনুশীলন করিয়াছিলেন। ইহঁদিগের ন্যায় অপর সকলেও বাঙ্গালা ভাষার আলোচনা করিলে আমাদিগের জাতীয় সাহিত্য যে আরও উন্নত হইত, তাতাতে সন্দেহ নাই। মধুসূদনের সহাধ্যায়ীদিগের মধ্যে পরলোকগীত, কুমারী তরুদত্তের পিতা স্বৰ্গীয় গোবিন্দচন্দ্র দত্তের নাম আমরা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। মধুসূদনের ন্যায় ইনিও বহুভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন এবং কলেজের মধ্যে একজন উৎকৃষ্ট কবিতা-লেখক বলিয়া প্ৰতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন। তঁহার বাল্যের