পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ ও বিশন্সি কলেজে অধ্যয়ন। ১১৯ ঘনিষ্টরূপে পরিচিত ছিলেন, তাহারা একবাক্যে বলেন যে, “মধুর যে কোন কালে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে অনুরাগ ছিল, তাহা আমাদিগের মনে হয় না । সে যে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিবে, আমরা তাহা কখন কল্পনাও করি নাই । অকস্মাৎ তাহার খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম-গ্রহণের সংবাদে আমরা সকলেই বিস্মিত হইয়াছিলাম।” মধুসূদনের পরিবারস্থ ব্যক্তিগণেরও বিশ্বাস এইরূপ। তাহারা বলেন, “ধৰ্ম্ম-বিশ্বাসের অনুরোধে মধুসূদন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন নাই ; খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলে তাহার যুরোপ গমনের সুবিধা হইবে, এবং তিনিও অপ্রীতিকর বিবাহের দায় হইতে অব্যাহতি পাইতে পরিবেন, এই ভাবিয়াই তিনি খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন”।* ইংলণ্ড গমন সম্বন্ধে তাহার কিরূপ প্ৰগাঢ় অপ্ৰীতিকর বিবাহের প্রস্তাব । নুন নহে ;-স্কুল কথা পুস্তকখানি সর্বাঙ্গ সুন্দর। তাহা লাভ করিয়া আমাদের আহলদের পরিসীমা ছিল না। পথে আসিবার সময় আমরা প্ৰতিজ্ঞা করিলাম যে, বাইবেল উপহার পাওয়ার বিষয় কাহাকেও জানাইব না । কিন্তু সৰ্ব্বজ্ঞ হেয়ারসাহেবের অনুসন্ধান কে বলিতে পারে । তিনি পাঁচ ছয় মাস পরে এক দিবস আমাদের সকলকে ধটার পর তঁহার নিকট যাইতে কহোন, কিন্তু একই দিনে সকলকে যাইতে বলেন নাই। প্রথমেDD DDD DDBSDBDDBDS BBD D BDB D DBBD DD DBD DBB S gBBBz LBD TBDBB DBBDBB DDDD DDDD LyD DBBBBD BBDSSS SDDD SDBD BB BBB BDBBBBD D DD DB DBDDBB BBB DDD DBD S SDBDDD BDB DBDBS ভুেল মিসন কলেজ, সেই স্থানে উপরের ঘরে তাহার বৈঠক হইত। আমাদিগকে দেখিয়া তিনি এক বিকটমুৰ্ত্তি ধারণ করেন। তঁহার এমন মূৰ্ত্তি পূর্বে কখন দেখি নাই। আমাদের যেমন কৰ্ম্ম তেমনই প্ৰায়শ্চিত্ত হইল, অর্থাৎ প্রত্যেককে এক এক ডজন বেত্ৰাঘাত কবিয়া ছাড়িয়া দিলেন। আসিবার সময়, নানা প্রকার মিষ্ট কথা বলিয়া, ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করিয়া দেন। আমরা সেই অবধি বাইবেল পড়া দূরে থাকুক, কোনও গির্জার নিকট দিয়া চলিতাম না ।”

  • মধুসূদনের ভ্রাতুষ্পপুত্রী, কাবা-কুসুমাঞ্জলি রচয়িত্রী শ্ৰীমতী মানকুমারী এ সম্বন্ধে আমাদিগকে যাহা লিখিয়া পঠাইয়াছেন, তাহা নিয়ে অবিকল উদ্ভূত হইতেছে ;-

“মধুসুদন যখন হিন্দু কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যযন করেন, সেই সময় তঁাহার স্বদে, শীয় কোন সন্ত্রান্তু জমীদারের কন্যার সহিত র্তাহার বিবাহের প্রস্তাব হয়। মধুসুদন এই বিবাহে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করেন। মধুসূদনের পিতা মাতা, “ছেলে মানুষের কথা” বলিয়া, এ অনিচ্ছার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য করেন নাই। কন্যার পিতা একজন সন্ত্রান্ত লোক,