পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re औदन-5डि । করা কাহারও পক্ষে ষে সম্ভবপর ছিল না, তাহা বলা অতিরিক্ত। মধুৰ সুন্দনের পিতা লাঠিওয়াল ও ষড় কিওয়ালাদিগের সাহায্যে পুত্রকে উদ্ধার করিবেন, আশা করিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হইল । খ্ৰীষ্টান মিসনারীগণ মধুসূদনের কোন আত্মীয়কে, সাধ্যানুসারে, তাহার ত সাক্ষাৎ করিতে দিতেন না এবং কচিৎ কেহ সাক্ষাৎ করিলে, তীক্ষু দৃষ্টিতে র্তাহার গতিবিধি পৰ্যবেক্ষণ করিতেন। তাহাদিগের এইরূপ ব্যবহারে কলিকাতার হিন্দুসমাজে হুলস্থূল উপস্থিত হইল। মধুসুদন হিন্দু কলেজের একজন খ্যাতনামা ছাত্র ছিলেন এবং তাহার পিতাও একজন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন ; সুতরাং মধুসূদনের পিতৃগৃহত্যাগের ও কেল্লায় অবরোধের সংবাদে সর্বত্রই আন্দোলন উপস্থিত হইল। কিন্তু মধুসূদনের নিজের অনিচ্ছা ও মিসনারীগণের কৌশল বশতঃ কেহই র্তাহাকে উদ্ধার করিতে সমর্থ হইলেন না । দুই চারি দিন কেল্লায় এইরূপে বনদীর ন্যায় অবস্থানের পর, ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দের ఎ* ফেব্রুয়ারী, মধুসুদন আর্চ-ডিাকন ডিল্টনীর (Arch-deacon Dealtry) foste sко-fesচর্চ ধৰ্ম্মমন্দিরে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেন । সেইদিন হইতে র্তাহাব মধুসুদন নামের সঙ্গে মাইকেল নাম সংযুক্ত হইল। হিন্দুসমাজ সেই বৎসর আরও একটি প্ৰতিভাশালী সন্তানে বঞ্চিত হইলেন । গোবিন্দ সামন্ত প্ৰভৃতি ইংরাজী উপন্যাস-প্ৰণেতা, সুলেখক লালবিহারী দেও সেই বৎসর খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলেন। মধুসূদন ও লালবিহারী উভয়েই যশস্বী হইয়াছেন। তাহদিগের ন্যায় প্ৰতিভাশালী সন্তানদিগকে হৃদয়ে রাখিতে পারিলে হিন্দু সমাজের পক্ষে যে সুখের বিষয় হইত, তাহাতে সন্দেহ নাই । মধুসুদন কবি-আজন্ম-কবি । জীবনের এরূপ একটি গুরুতর ঘটনা সম্বন্ধে তিনি যে কবিতায় মনের ভাব ব্যক্ত করিবেন না, তাহা কখনও সম্ভব নয় । তিনি নিজের শ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ সম্বন্ধে একটী কবিতা অথবা খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ ।