পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদ্ৰাজ-প্ৰবাস । Sct সম্বন্ধে কোন বিশেষ প্ৰশংসাজনক কথা বলিয়া, কবিকে উৎসাহিত (P3 rife Hindu Intelligencer facsig irri (F 9 তাৎকালিক খ্যাতনামা কবি, স্বৰ্গীয় কাশীপ্ৰসাদ ঘোষের নিকট মধুসূদন বড়ই প্ৰতাশা করিয়াছিলেন । কিন্তু তিনি তাহার পত্রিকায় ইহার সম্বন্ধে যেরূপ মত প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তাহাতে মধুসূদনের হৃদয় পরিতৃপ্ত হয় নাই। “হরকরা’ পত্রিকা, সে সময়কার, ভারতীয় পত্রিকা সমূহের শীর্ষস্থানীয় ছিল । তাহাতে ক্যাপটিভ লেডীর” যে সমালোচনা প্ৰকাশিত হইয়াছিল, তাহাতে কবির পক্ষে উৎসাহ লাভ করা দুলু থাকুক, তাহা । পাঠ করিয়া তাহার সুহৃদগণ মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন।*।। মধুসূদনের নিজের মনের বলা যথেষ্ট ছিল ; তীব্র সমালোচনায় সহজে নিরাশ হইবার পাত্ৰ তিনি ছিলেন না । কিন্তু ‘হরকরার’ শ্লেষোক্তিতে তাহার বীর হৃদয়ও আহত হইয়াছিল। নবীন কবিকে উৎসাহ দেওয়া দুলে থাকুক, ইংৰাজী ভাষায় গ্ৰন্থ লিখিয়া প্ৰতিষ্ঠালাভের দুদ্রাশ যেন তিনি হৃদয়ে পোষণ না করেন, সম্পাদক এই ভাবেই তঁহাকে উপদেশ দিয়াছিলেন । নিজের সাংসারিক অভাবের ও মানসিক অশান্তর বিষয় উল্লেখ করিয়া মধুসুদন ক্যাপটিভ লেভীর ভূমিকায় লিখিয়াছিলেন যে, “যে অবস্থায় পড়িয়া তিনি গ্ৰন্থ-রচনা করিয়াছিলেন, তাহা কবি শক্তিবিকাশেৰ উপযোগিনী নয়” । সম্পাদক, এই উপলক্ষ্য করিয়া, তাহার দরিদ্রাবস্থাবও প্ৰতি বক্রোক্তি

  • হরকরার সমালোচনায় মধুসূদনের বন্ধুগণ কিরূপ ব্যথিত হইয়াছিলেন, তাহা তাহাদিগের মধ্যে একজনের লিখিত পত্রের নিম্নোদ্ধত কয়েকটী পংক্তি হাঁটতে প্রতীয়মান হইবে। তিনি হরকরায় ক্যাপটিভ লেডীর সমালোচনা পাঠ করিয়াছেন। কিনা, এই sts secs firstface ; "I am not in the habit of reading any of the papers, and thus am happily saved the pain which I should otherwise derive from the sight of a friend roughly used by those bloody tutthroats, the Calcutta Editors."