পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 € }ከፖ औदन-5ब्रिड । অক্ষয় কীৰ্ত্তি-লাভ করিতে পারিবেন ; কিন্তু এখন হইতে র্তাহার সে ভ্ৰম দুৱীভূত হইল। সুস্পষ্টরূপে, তখনও, বুঝিতে না পারুন, কিন্তু এই সময় হইতে র্তাহার উপলব্ধি জন্মিল যে, সেক্সপীয়ারের এবং মিণ্টনের ভাষায় চিরস্থায়ী কীৰ্ত্তিলাভ করা বিদেশীয়ের পক্ষে সহজ নয় । মান্দ্ৰাজে কেহ র্তাহাকে এরূপ কথা বলেন নাই । কিন্তু কলিকাতায় যাহাদিগের নিকট তিনি বিশেষ সমাদবের আশা করিয়াছিলেন, র্তাহাদিগের মধ্যে দুই, একজন তাঁহাকে তাহার ভ্রম প্ৰদৰ্শন করিতে পরাত্মখ হন নাই। ইহাদিগের মধ্যে একজনের নাম বিশেষরূপ উল্লেখ-যোগ্য ! ইনি আমাদিগের দেশের স্ত্রী-শিক্ষার প্ৰবৰ্ত্তক, সুপরিচিত নামা ডিঙ্কওয়াটার বেথুন ! মহাত্মা বেথুন, তখন আমাদিগের দেশের ব্যবস্থা-সচিব এবং শিক্ষাসমাজের (Education Council) সভাপতি ছিলেন । সুতরাং তঁহার ন্যায় ব্যক্তিত্ব মতামত যে কতদূর মূল্যবান, তাহ! সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে । বেথুন নে ভাবে ক্যাপটিভ লেডীর সমালোচনা করিয়াছিলেন, তাহ প্ৰকৃতই তাহার ন্যায় মহাত্মার উপযুক্ত হইয়াছিল। তিনি, হরকরা সম্পাদকেব ন্যায়, গ্ৰন্থকারকে বাঙ্গ করিয়া,তাহার প্রথম উদ্যমে অবজ্ঞা প্ৰদৰ্শন করেন নাই। সস্নেহ উপদেশ-বাকে, তাহার অবলম্বিত পথের কুটিলতা নির্দেশ করিয়া দিয়া, গন্তব্য স্থলে উপস্থিত হইবার জন্য, অপেক্ষাকৃত সরল, সুগম পথ নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন। অনেকে মহাত্মা বেথুনকে কেবল বঙ্গদেশে স্ত্রীশিক্ষার প্ৰবৰ্ত্তক বলিয়া সম্মান করিয়া থাকেন । কিন্তু তিনি যে আমাদিগের জাতীয় সাহিত্যের উন্নতির জন্য কত চেষ্টা । করিয়াছিলেন, তাহা, বোধ হয়, অতি অল্প লোকই অবগত আছেন । বঙ্গীয় সাহিত্যের উন্নতির জন্য, আমরা যে সকল বৈদেশিক পুরুষের নিকট ঋণী আছি, মহাত্মা বেথুন তাহাদিগের অন্যতম বলিলে কিছুমাত্র অত্যুক্তি হুইবে না । তাৎকালীন ইংরাজী শিক্ষিত সম্প্রদায়ের হৃদয়ে বাজলা সাহি বেথুনের উপদেশ ও পত্র।