እኳ'ኳ” জীবন-চরিত । বিবাহের আন্দোলনে বঙ্গদেশের প্রত্যেক পল্লী এবং প্ৰত্যেক গৃহ আন্দোলিত হইতেছিল । নবোৎসাহময় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম, খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তনের গতিরোধ কবিয়া, ইংরাজী-শিক্ষিত নব্য-সম্প্রদায়ের সম্মুখে এক নূতন আলোক বিকীর্ণ করিতেছিল। চতুর্দিকেই পরিবর্তন, পুৱাতনের সহিত নূতনেব সংগ্রাম। পাশ্চাত্য ভাষা ও পাশ্চাত্য সমাজের সঙ্গে প্ৰাচ্য ভাষার ও প্ৰাচ্য সমাজের সংঘর্ষে এক অভিনব শক্তি সমুৎপন্ন হইয়া সমস্ত বঙ্গদেশকে আন্দোলিত করিতে আরম্ভ করিয়াছিল । সমাজ, ধৰ্ম্ম, রাজনীতি, সকল বিষয়েই মধুসুদন যে পরিবর্তন-যুগের সূত্ৰপাত দেখিয়া গিয়াছিলেন, ফিরিয়া আসিয়া তিনি তাহাদিগের পূৰ্ণবিকাশ দর্শন করিলেন। মধুসুদন তখন জানিতেন না যে, তাহারও প্রতিভা এই পরিবর্তন-যুগ সম্বন্ধে কিরূপ কাৰ্য্য করবে। ঐশ্বরিক বিধান বলে, উপযুক্ত সময়ে, তিনি বঙ্গদেশে প্ৰত্যাবৃত্ত झंश्लेgव्शन । মধুসুদন সাহিত্য-সেবক ;-সাহিত্যেরই সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধরাজনীতির অথবা সমাজ-নীতির সহিত তাহার বড় সম্বন্ধ ছিল না। বঙ্গীয় সাহিত্যের অবস্থা ; সেই সাহিত্য সম্বন্ধেও তাহার প্রবাসকালের বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ও অক্ষয় মধ্যে বঙ্গদেশে যুগান্তর উপস্থিত হইয়াছিল। BB TBu iDDD DDD SYDB BD DB BDBDBDBDBD DBBBS ऐठनठि । 直 তখন বাঙ্গালা ভাষার প্রতি শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মনের ভাব কিরূপ ছিল, আমরা পূর্বে তাহার উল্লেখ করিয়াছি। বাঙ্গালা ভাষার আলোচনা করা দুরে থাকুক, “বাঙ্গালা ভাষাতে আমার অভিজ্ঞতা নাই” এ কথা বলাও, যেন, অনেকে গৌরবজনক মনে করিতেন। কিন্তু মধুসুদন যখন মান্দ্ৰাজ হইতে প্ৰত্যাগমন করিলেন, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এবং বাবু অক্ষয়কুমারদত্তের প্রতিভাগুণে বাঙ্গালাভাষা আর এক অবস্থা প্ৰাপ্ত হইয়াছিল। মধুসূদনের মান্দ্ৰাজ হইতে
পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।