পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা সাহিত্যের অবস্থা । * Q> গণের আবির্ভাব হইয়া থাকে । মধুসূদনের ও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত আলোচনা করিলে একথা সুন্দর রূপ প্ৰমাণিত হইতে পারে । বঙ্গভাষার সংস্কারের ও সমৃদ্ধিসাধনের জন্য ইহাদিগের উভয়ের জন্ম হইয়াছিল ; উভয়েই, স্ব স্ব বিদ্যা, বুদ্ধি, শিক্ষা এবং দেশকালগত রুচি অনুসারে, সে কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া গিয়াছেন । তঁহাদিগের উভয়ের কবিশক্তিতে অথবা রচিত কাব্যে কোন সাদৃশ্য নাই, কিন্তু উভয়ের অনুষ্ঠিত কাৰ্য্যের মধ্যে আতি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ বৰ্ত্তমান আছে। ভারতচন্দ্র এবং তঁহার অনুকরণকারী কবিগণ, আদিরসের যে প্লাবনে, বঙ্গভাষাকে পঙ্কিল করিয়া গিয়াছিলেন, তাহা হইতে বাঙ্গালা সাহিত্যকে উদ্ধারের জন্যই হাস্যরসের অবতার ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তের আবির্ভাব হইয়াছিল । তিনি ভিন্ন আর কাহারও স্বারা সে কাৰ্য সম্পন্ন হইবার সম্ভাবনা ছিল না। অন্যের কথা দূরে থাকুক, অদ্বিতীয় প্ৰতিভাশালী, মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ও, ভারতচন্দ্রের প্রদর্শিত পথ ত্যাগ করিয়া, কোন নুতন পথে গমন করিতে সঙ্কুচিত হইয়াছিলেন । * ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তই কেবল, হাস্যরসের সমাবেশ করিয়া, বঙ্গীয় পাঠকের রুচি পরিবৰ্ত্তিত করিয়াছিলেন । কিন্তু কেবল হাস্যরস লইয়াও, মানুষ্যের পক্ষে চিরদিন, পরিতৃপ্ত থাকা সম্ভবপর নয় । জামাই ষষ্ঠী বা অরন্ধন, পিঠে সংক্রান্তি বা ৰ'ড়দিন, পাটা বা তপসে মাছ সম্বন্ধে কবিতা আহাৰ্য্যের সঙ্গে মুখরোচক “চাটনির” স্থায় চলিতে পারে বটে, কিন্তু দেহরক্ষাব্য জন্য অন্যরূপ খাদ্যের প্রয়োজন । সেই প্রয়োজন সিদ্ধির জন্যই বাঙ্গালা সাহিত্যে মধুসূদনের অভু্যদয় । ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতায় বাঙ্গরস ভিন্ন যে আর কিছু ছিল না, আমরা গুপ্ত কবির কবিতার सिङ्

  • এইরূপ কথিত আছে যে, রামমোহন রায় বলিয়াছিলেন, “বাঙ্গালী ভাষায় একখানি কাব্য রচনায় আমার বড় ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ভারতচন্দ্রের সমতুল্য হইতে পারিব না ৰলিয়াই छाइgएछ निङ्गख इद्देवार्छि ।"