পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । প্ৰাচ্য কবিদিগের প্রভাবকাল । শৰ্ম্মিষ্ঠা ও পদ্মাবতী রচনা । l >vaレー>ャas *総t平] এক দিন রত্নাবলীর অভিনয়াভ্যাস ( Rehearsal ) দেখিতে দেখিতে মধুসুদন গেীরদাস বাবুকে বলিলেন ; “দেখ কি দুঃখের বিষয় যে, এই এক না। অকিঞ্চিৎকর নাটকের জন্য, রাজারা এত অর্থব্যয় করিতেছেন।” গেীরদাস বাবু শুনিয়া বলিলেন, “নাটকখানা যে অকিঞ্চিৎকর, তাহা আমরা ও জানি ; কিন্তু উপায় কি ? বিদ্যাসুন্দরের ন্যায় নাটক আমরা অভিনয় করি, ইহা অবশ্যই তোমার ইচ্ছা নয়। ভাল নাটক পাইলে আমরা রত্নাবলী অভিনয় করিতাম না, কিন্তু ভাল নাটক বাঙ্গলা ভাষায় কোথায়?” মধুসুদন বলিলেন, “ভাল নাটক ? আচ্ছ। আমি রচনা করিব ।” গেীরদাস বাৰু শুনিয়া হাসিয়া উঠিলেন। বাঙ্গালা ভাষায় মধুসূদনের যতদূর জ্ঞান, তাহা তাহার অগোচর ছিল না । বাঙ্গালা ভাষায় একখানা পত্ৰ লিখিতে হইলে যে, মধুসূদনের শিরঃপীড়া উপস্থিত হইত, তাহা তিনি জানিতেন । কিন্তু তিনি তখন ভাব গোপন করিয়া বলিলেন, “ভালষ্ট ইচ্ছা হইলে চেষ্টা করিয়া দেখিতে পাের।” মধুসুদন বুঝিতে পারিলেন, গৌরদাস বাবু মুখে তাহাকে যাহাঁই বলুন, অন্তরে তঁহার কথায়, আস্থা-স্থাপন করিলেন না । কিন্তু তিনি সে সময় আর কোন কথা বলিলেন না। উপেক্ষায় নিরস্ত থাকা মধুসূদনের প্রকৃতিবিরুদ্ধ ছিল । বাঙ্গালা নাটক রচনার সঙ্কল্প ।