পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AQgo औीवन-ब्रिड প্রিয়জনেব আদর্শনে এরূপ ভাবে বিলাপ কি স্বভাবসঙ্গত ? ইহা হৃদয়ের কথা নয়, কৃত্রিমতাপূর্ণ শব্দাড়ম্বর মাত্র। শৰ্ম্মিষ্ঠার অনেক উৎকৃষ্ট স্থল, এইরূপ কৃত্রিমতা দোষে দুষিত। প্ৰচলিত যাত্ৰা প্ৰভৃতিতে যেমন নাটকীয় পাত্ৰ আসিয়া, শ্রোতাগণের নিকট, আপনার সুদীর্ঘ কাহিনী বৰ্ণনা করিতে আবম্ভ করে, শৰ্ম্মিষ্ঠারও অনেক স্থলে সেইরূপ করা হইয়াছে, দেখিতে পাওয়া যায়। হিমাচলশৃঙ্গস্থিত দৈত্যসৈনিক, যেন শ্রোতা- দিগকে আত্ম পবিচয় দিবার জন্যই, বলিতেছিল ; - “আমি প্রতাপশালী দৈত্যারাজের আদেশ অনুসারে এই পর্বত প্রদেশে অনেক দিন অবধি বাস করি ; দিবা রাত্রের মধ্যে ক্ষণকাল সচ্ছন্দে থাকি না ; কারণ ঐ দূরবত্তী নগরে দেবতারা যে কখন কি করে, কখনই বা সেখান হতে রণসজ্জায় নিৰ্গত হয়, তার সংবাদ অসুরপতির নিকটে লয়ে যেতে হয় ।” এইরূপ শুক্রাচাৰ্য্য, কপিল প্ৰভৃতি পাত্ৰাদিগকেও কবি রঙ্গমঞ্চে প্ৰবেশ কাবাইয়া, তাহাদিগেরই মুখ হইতে সেখানে আগমনের উদ্দেশ্য ব্যক্ত কন্ধাইয়াছেন । নিপুণ নাটককারগণ, যেরূপ কৌশলে, এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিয়া লন, মধুসুদন তাহা করিতে পারেন নাই। কিন্তু এই সকল দোষ সত্ত্বেও, শৰ্ম্মিষ্ঠা যে সময়ে এবং যে অবস্থায় রচিত হইয়াছিল, তাহা চিন্তা করিলে আমরা গ্ৰন্থকারকে অসঙ্কোচে প্ৰশংসা করিতে বাধ্য হই । শৰ্ম্মিষ্ঠা, দেবযানী,শুক্রাচাৰ্য এবং যযাতি, এই চারিটাই শৰ্ম্মিষ্ঠা নাটকের প্রধান চরিত্র। মধুসুদন যেরূপভাবে তাহাদিগকে চিত্ৰিত করিয়াছেন, তাহা মূল মহাভারতের অপেক্ষা নিকৃষ্ট হয় নাই ; ক্ষমাশীল এবং সহিষ্ণুতাময়ী সরলা দৈত্যবালা শৰ্ম্মিষ্ঠার, কোপনা অথচ অনুতপ্ত প্ৰেমিকা দেবযানীর এবং শমগুণান্বিত মহর্ষি শুক্রাচাৰ্য্যের চরিত্র, সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর না হউক, বিশেষ প্ৰশংসনীয় হইয়াছে। শৰ্ম্মিষ্ঠা-নাটকের যযাতিকে LBBDS DBDDBB DDDBDBuDBB BuDD DD DBBDB কিয়ৎপরিমাণে fè l বিশ্বত হই। দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে,শুক্রাচাৰ্য্যের আশ্রমে, সখীর সঙ্গে শৰ্ম্মিষ্ঠার কথোপকথন, মেঘনাদ