পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 o জীবন-চরিত । চরিত্ৰই নাটকের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট । তৃতীয় গর্ভাঙ্কে শৰ্ম্মিষ্ঠাকে কিঞ্চিৎ অতিরিক্ত অভিমানিনী করিয়া কবি ইহার অঙ্গ হানি করিয়াছেন, নচেৎ ইহা সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হইত। ভারতীয় অন্যান্য কবি-শ্রেষ্ঠদিগের ন্যায় মধুসুদনও নারীচরিত্র চিত্ৰণেই সমধিক দক্ষতা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন । তঁহার প্ৰমীলা, অনেক বিষয়ে, বঙ্গীয় সাহিত্যে অতুলনীয়া থাকিবেন । শৰ্ম্মিষ্ঠানাটকে কবি তাহার এই নারীচরিত্র-চিত্রণের শক্তির প্রথম পরিচয় প্ৰদান করিয়াছেন । শৰ্ম্মিষ্ঠ গ্রন্থের নায়িকা এবং দেবযানী প্ৰতিনায়িকা । এ অবস্থায় শৰ্ম্মিষ্ঠার প্রতি অনুরাগের সঙ্গে দেবযানীর প্রতি বিরাগ জন্মিবার সম্ভাবনা । কিন্তু মধুসূদনের বর্ণনা গুণে তাহ হয় না ; বরং পতিপ্ৰেম-বঞ্চিত, দুর্ভাগিনী বলিয়া তাহার প্রতি আমাদিগের অনুকম্প জন্মে। দেবযানী শুক্রাচাৰ্য্যের একমাত্র দুহিতা, বৃদ্ধ পিতার প্রাণীপেক্ষাও প্রিয়তরা, সুতরাং আদরের আদরিণী। দেবযানী মুখরা ও অভিমানিনী, এবং কিশোরবয়সে নিরাশ প্ৰণয়ে মৰ্ম্মপীড়িত । ঋষিকুমারী হইলেও দেবযানী তপস্বিনীজনোচিত আত্মসংযম শিক্ষা করিতে পারেন নাই । প্ৰথম যৌবনে দেবযানী একজন ঋষি-কুমারকে হৃদয় দান করিয়াছিলেন, কিন্তু দুৰ্ভাগ্য ক্ৰমে প্ৰতিদান পান নাই। প্ৰত্যাখ্যাত হইয়া দেবযানী অভিমানে প্ৰণয়াম্পাদকে অতি কঠোর অভিশাপ প্ৰদান করিয়াছিলেন, এবং নিজেও তঁহার নিকট অভিশাপগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন । দেবযানীর পূর্ব জীবন এইরূপ । ইহার পর, পিতার স্নেহ-ক্ৰোড়ে পালিত হইয়া, দেবযানী কৈশোর প্রণয়ের নিরাশ্বাস বিশ্বত হইয়াছিলেন এবং চু্যতপল্লব লতিকা, আবার যেমন, বসন্তবায়ু-স্পর্শে, পত্রপুষ্প ধারণেব উপযুক্ত হয়, তেমনই অভিমত পাত্রে পুনৰ্ব্বার আত্ম-সমর্পণ করিতে সক্ষমা হইয়াছিলেন । কিন্তু বিধাতার ইচ্ছায় তাহাতেও ব্যাঘাত ঘটিল । তঁহার প্ৰিয়তম, আর একজনের সৌন্দৰ্য্যে মোহিত হইয়া, তাহাক বিস্থিত लंछेि ५e cवयांनौ ।